মোদী সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এজেন্সিগুলিকে ব্যবহার করলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ট্যাকটিক্স নেওয়া হবে। মোদী সরকারকে এমনই হুঁশিয়ারি দিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী। আর এই মন্তব্যের চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই কর্ণাটকের শাসক জেডি এস ও কংগ্রেস নেতাদের বাড়িতে ও অফিসে হানা দিলেন আয়কর দফতরের অফিসারেরা।
কর্ণাটক সরকারের অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আয়কর দফতরকে ব্যবহার করছে। ওই রাজ্যে গত জানুয়ারিতে বিধায়ক কেনাবেচার অভিযোগ উঠেছিল। কংগ্রেস, জেডি এস এবং বিজেপি, তিনটি দলই নিজেদের বিধায়কদের আলাদা করে রেখে দিয়েছিল রিসর্টে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে আয়কর দফতরের অফিসাররা কর্ণাটকের মাণ্ড্য জেলায় সেচ মন্ত্রী সি এস পুট্টারাজুর বাড়িতে হানা দেন। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। মাইসুরুতে পুট্টারাজুর ভাইপোর বাড়িতেও তাঁরা হানা দেন। পুট্টারাজু পরে সংবাদ সংস্থাকে বলেন, আমি এইসব তল্লাশিতে ভয় পাই না। নির্বাচনের জন্যই এই তল্লাশি। আমি জানতে চাই, কর্ণাটকে কোনও বিজেপি নেতার বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে কি? মাণ্ড্য জেলা থেকে এবার দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর ছেলে নিখিল কুমারস্বামী। তাঁর প্রচারের দিকটা দেখভাল করছেন পুট্টারাজু।
আয়কর অফিসাররা পুর্তমন্ত্রী এইচ ডি রেভান্নার কয়েকজন ঘনিষ্ঠের বাড়িতেও হানা দিয়েছেন। রেভান্না হলেন কুমারস্বামীর ভাই। তাঁর ছেলে প্রোজ্জ্বল হাসান কেন্দ্র থেকে লড়ছেন। গত বুধবার আয়কর দফতর জানায় জেডি এসের প্রভাকর রেড্ডির বাড়িতে তল্লাশি করা হয়েছে। তারপরের কুমারস্বামী ‘মমতার ট্যাকটিকস’ নেবেন বলে হুমকি দেন।
আয়কর দফতরের তল্লাশির নিন্দা করে জেডিএসের জোটসঙ্গী কংগ্রেস বলেছে, ভারতের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোনও প্রধানমন্ত্রী একের পর এক স্বশাসিত সংস্থার অপব্যবহার করছেন। মানুষ তাঁকে শিক্ষা দেবে।
![‘মমতার ট্যাকটিক্স নেব’ – বলতেই কর্নাটকের শাসকদলের নেতাদের বাড়িতে আয়কর হানা](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2019/03/WhatsApp-Image-2019-03-28-at-1.52.59-PM.jpeg)