পাক সেনার কাছে বন্দি হয়েও দু’দিন পর ভারতে ফিরে এসেছিলেন ভারতীয় বায়ু সেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। দেশে ফিরে হাসপাতালে চিকিৎসা হয় তাঁর। তারপর অভিনন্দনের পাকিস্তান অভিযানের রিপোর্ট তৈরি করে গোয়ান্দা সংস্থা। সেই কাজ চলে দু’সপ্তাহ ধরে। এর পরে চার সপ্তাহের ‘সিক লিভ’ পান তিনি। দেশে ফেরার পর তাঁর সমস্ত শারীরিক পরীক্ষা হয়। এর পর তাঁকে চার সপ্তাহের জন্য অসুস্থতা জনিত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। পুরো ছুটি না নিয়েই তিনি শ্রীনগরে গিয়ে কাজে যোগ দিলেন।
সেই ছুটিতে অভিনন্দন চেন্নাইয়ের বাড়িতে গিয়ে ছুটি কাটাতে পারতেন। নিজের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগও ছিল তাঁর কাছে। কিন্তু তিনি তা করেননি। তাঁর বদলে তিনি যোগ দিয়েছেন বায়ুসেনার স্কোয়াড্রনে, শ্রীনগরে। অভিনন্দনের চার সপ্তাহের সিক লিভ শেষ হলে গঠন করা হবে মেডিক্যাল বোর্ড। সেই বোর্ড তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করে জানাবে বায়ুসেনার উচ্চপদস্থ অফিসারদের। তার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে উইং কমান্ডার হিসাবে ফাইটার জেটের ককপিটে অভিনন্দন ফিরবেন কি না।
পাকসেনার হাতে বন্দি হয়েও ওই দু’দিন যে সাহসিকতার পরিচয় অভিনন্দন বর্তমান রেখেছিলেন তাঁর জন্য তাঁকে কুর্নিশ জানিয়েছিল সমগ্র ভারতবাসী। গত মাসের ২৭ ফেব্রুয়ারি সকালে তিনটি এফ-১৬ নিয়ে ভারতের আকাশসীমায় ঢুকে পড়েছিল একগুচ্ছ পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান। সেগুলিকে তাড়াতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বায়ুসেনা। সেই দলে ছিলেন অভিনন্দনও। তিনি একটি মিগ-২১ বাইসন যুদ্ধবিমান নিয়ে তাড়া করেন পাকিস্তানি এফ-১৬কে। তাঁর যুদ্ধবিমান থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ভেঙে পড়ে এফ-১৬। যদিও পাক সেনার কাছে বন্দি হয়েছিলেন অভিনন্দন। কিন্তু দু’দিনের মধ্যে পাকিস্তান তাঁকে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।