আইপিএলে এর আগে কোনও ব্যাটসম্যান ‘মানকাডেড’ হয়নি। চলতি আইপিএল মরশুমে তা হয়েছে খোদ কিংস ইলেভেন ক্যাপ্টেন রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে। অশ্বিনের পক্ষে ও বিপক্ষে বহু মতামত এসেছে। ক্রিকেট দুনিয়া এই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত। এমসিসি মানকাডিং নিয়ে আইনের ব্যাখ্যা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘ক্রিকেটের ৪১.১৬ ধারায় যা বলা হয়েছে, সেখানে কোথাও কোনও দিন এই রকম আউটের ক্ষেত্রে নন স্ট্রাইকারকে সতর্ক করার কথা বলা হয়নি। তা ছাড়া কোনও ব্যাটসম্যান যদি আগে ক্রিজ ছেড়ে বাড়তি সুবিধে নেওয়ার চেষ্টা করেন, তাকে আউট করলে তা ক্রিকেটের ঐতিহ্যের বিরোধী নয়’। এই মন্তব্য অবশ্যই অশ্বিনের পক্ষে যাচ্ছে। কেন এত দিন মানকাডিং হয়নি, তার একটা আন্দাজ পাওয়া গিয়েছে আইপিএলের চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লার মন্তব্যে। সাফ জানিয়েছেন, “কোনও একবার আইপিএল শুরুর আগে ক্যাপ্টেন ও ম্যাচ রেফারিদের মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল স্রেফ ভদ্রতার কারণেই ‘মানকাডিং’ করা হবে না”।
বোর্ডের এক কর্তা যা মন্তব্য করেছেন, তা অশ্বিনের জন্য খুব সুখবর নয়। নাম প্রকাশ না করে তিনি জানিয়েছন, ‘একজন প্লেয়ারের প্রতিপক্ষ প্লেয়ারকে বোকা বানানো উচিত ক্রিকেটীয় স্কিলে। কোনও ছলে নয়। ব্যাটসম্যান সুবিধা নিলে, ভদ্রতার সঙ্গে তার মোকাবিলা করা উচিত। প্রতিদ্বন্দ্বিতা খুবই দরকার। কিন্তু কিছু নীতিও মনে চলা জরুরি।’ আর এক বিসিসিআই কর্তা অশ্বিনের পাশেই দাঁড়িয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘অশ্বিনকে ক্রিকেটের স্পিরিট নিয়ে লেকচার দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। ক্রিকেটের নিয়মে যা আছে, তা মেনেই অশ্বিন কাজ করেছে। আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারিরা তো আছেন ক্রিকেটটা নিয়ম মেনে খেলা হচ্ছে কি না দেখার জন্য।’
এবিষয়ে টুইটারে শুক্লা লিখেছেন, “আমার যতটা মনে পড়ছে ক্যাপ্টেন আর ম্যাচ রেফারিদের নিয়ে মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, নন স্ট্রাইকিং ব্যাটসম্যান ক্রিজ ছেড়ে বেরোলে তাকে রান আউট করা হবে না”। রাজস্থান রয়্যালসের জোস বাটলারকে মানকাডেড করা নিয়ে বিতর্ক চলছেই। শুক্লার মন্তব্যে নতুন মোড় এই বিতর্কে। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সমালোচনাও যেমন চলছে, তেমনই পাশেও দাঁড়িয়েছেন অনেকে। ইংলিশ ক্রিকেটাররাই বেশি সমালোচকের ভূমিকায়।রাজস্থান রয়্যালসের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডর শেন ওয়ার্নও মুখ খুলেছেন এই বিষয়ে।