গ্রাম বাংলার এক ছাপোষা কিশোর গুপী। সে চায় গায়ক হতে। কিন্তু তাঁর ইচ্ছের দাম সেভাবে নেই। আর স্বপ্নপূরণের পথে প্রধান বাঁধা তাঁর মা। তবু গুপী নিজের ইচ্ছেয় অনড়। এমনই এক গল্প নিয়ে আসছে ‘গুপী গাএন’। গুপীর ভূমিকায় ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়, মা অপরাজিতা আঢ্য। বাঙালি মায়েরা ছেলেমেয়েদের নিজের মতো করে গড়ে তুলতে চান। এছবিতেও সেই গল্পই বলা হয়েছে। অপরাজিতা আঢ্য জানান, “ওদের ফ্যামিলিতে অভিশাপ আছে যে কেউ গান গাইলে সে মারা যায়। গুপীর দাদু ও বাবার সেভাবেই মৃত্যু হয়েছে। তাই গুপীর মা কখনও চায় না সে গায়ক হোক। কিন্তু গুপী গান গাইতে চায়। গান গাওয়ার সুযোগও সে পায়। এদিকে ওদের সংসারের সাংঘাতিক দুরাবস্থা। শেষে গুপীর মা বোঝে। গুপী কিন্তু গায়েন হয়। কী ভাবে সেটা সম্ভব হল জানতে হলে ছবিটা দেখতে হবে”।
রাজদীপ ঘোষের এই ছবিতে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং সব্যসাচী চক্রবর্তী অভিনয় করেছেন। শাশ্বত জানালেন, “এই ফিল্মে আমি অতিথি শিল্পী। আমি গুপীর বাবা আর আমার বাবা বেণুদা (সব্যসাচী চক্রবর্তী)। আমার চরিত্রটাই গুপীর গায়ক হওয়ার ইচ্ছে জাগিয়ে দেয়। এর জন্যই গান পাগল হয়ে ওঠে গুপী”।
এই ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “প্রথমেই বলে রাখা ভাল যে এই গুপীর সঙ্গে ওই গুপীর (‘গুপী গায়েন বাঘা বায়েন’) কোনও মিল নেই। এটা একটা মানুষের ইচ্ছে পূরণের গল্প, স্বপ্ন পূরণের গল্প। একটা ছেলে যার ডাক নাম গুপী এবং সে গান গায়। সিম্পল কিছু মানুষজনের গল্প, যে মানুষগুলোকে আমরা সবসময় দেখি… এবং গল্পটা খুব সিম্পল ওয়েতে বলা। অপু কাকুর (শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়) সঙ্গে আমার প্রথম কাজ, যদিও একসঙ্গে আমাদের কোনও দৃশ্য নেই। দারুণ অভিজ্ঞতা হল”। এই ছবি দর্শক টিভিতে দেখতে পাবেন আগামী রবিবার। প্রসঙ্গত, বড়পর্দায় এই ছেলে-মা জুটিকে একাধিক ফিল্মে দেখা গেছে। মৈনাক ভৌমিকের ‘জেনারেশন আমি’, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘কিশোরকুমার জুনিয়র’ ছবিতে এই দুই শিল্পীর অভূতপূর্ব অভিনয় দেখা গেছে। এই ছবিতেও নিশ্চয় তার ব্যতিক্রম হবে না।