বামেদের ৩৪ বছরের অপশাসনের অবসান ঘটেছে তাঁর হাত ধরেই। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা উন্নয়নের কান্ডারী তিনি। বর্তমানে তাঁর দলই রাজ্যে ক্ষমতায়। তাই যে যত বড়ই স্টার হোক না কেন, দলের সবচেয়ে বড় স্টার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। তাঁকে এক ঝলক দেখতে মানুষের ভিড় উপচে পড়ে৷ তাঁর সভায় নামে জনতার ঢল। তিনি যে রাস্তা দিয়েই যান, সেখানেই তাঁকে দেখার জন্য লাইন করে দাঁড়িয়ে থাকেন মানুষ। তাঁর এই প্রশ্নাতীত জনপ্রিয়তার কারণেই তাঁকে সবার ওপরে রেখে ‘স্টার প্রচারক’দের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিল তৃণমূল।
জানা গেছে, আগামী শীঘ্রই প্রচারের ঝড় তুলতে নামবেন তৃণমূল দলনেত্রী। তাঁর সঙ্গে থাকবেন দলের নেতা-নেত্রীরা। নেত্রী আগেই জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর দলের নেতা-কর্মীরাই তাঁর সম্পদ। যার জেরে তাঁর নামের পর দলের নেতা-মন্ত্রীদের নাম সম্বলিত দীর্ঘ তালিকা ‘স্টার প্রচারক’ হিসাবে জমা পড়ল নির্বাচন কমিশনে। ওই তালিকায় মমতার পরেই থাকছে দলের রাজ্য সভাপতি তথা সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সীর নাম। তাঁর পর দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে। এরপর একে একে রয়েছে ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যদের নাম থাকছে প্রচারকদের তালিকায়।
জানা গেছে, রাজ্য মন্ত্রীসভার প্রত্যেক সদস্যের নামই থাকছে তালিকায়। দলীয় সূত্রের খবর, রাজ্যের সর্বত্রই এই গুরুত্বপূর্ণ নেতা-মন্ত্রীদের প্রচারে যেতে হবে। এমনকি রাজ্যের বাইরেও প্রচারে যাবেন তাঁরা। তবে শুধু নেতা-মন্ত্রীরাই নয়, রাজনীতির লোকেদের পাশাপাশি ওই তালিকায় নাম রয়েছে বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশেরও। থাকছেন, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, অরিন্দম শীলের মতো চিত্র পরিচালক ও ইন্দ্রাণী হালদারের মতো অভিনেত্রীও।
অনেক সাংসদ ও প্রার্থীর নামও রয়েছে এই তালিকায়। মমতার পর সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় যে সাংসদরা যাঁরা, তাঁরাও রয়েছেন তালিকায়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় ছাড়াও স্টার প্রার্থী দেব তথা দীপক অধিকারী, শতাব্দী রায়, মিমি চক্রবর্তী, নুসরত জাহানরাও রয়েছেন এই তালিকায়। অর্থাৎ নিজেদের কেন্দ্র ছাড়াও রাজ্যজুড়ে প্রচারে যেতে হবে তাঁদের। বস্তুত, লোকসভার পারফরমেন্স দেখেই সুদীপবাবু, সৌগতবাবু, অভিষেকদের এই তালিকায় রাখা হয়েছে। সেখানে গুরুত্ব পেয়েছে স্টাইল ও অ্যাক্টিভিটি। মোদ্দাকথা, সকলের নামের তালিকা কমিশনে জমা দিয়ে এবার জোরকদমে ভোটের লড়াই শুরু করে দিল তৃণমূল।