বিতর্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ফেসবুকের। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৯-এর জানুয়ারি মাসে ধরা পড়ার আগে অবধি প্রায় ৬০ কোটি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড সাধারণের নজর এড়াতে এনক্রিপশনের আওতায় আড়াল করে রাখার বদলে সাধারণ টেক্সট ফর্ম্যাটে রাখা ছিল সংস্থার অভ্যন্তরীণ সার্ভারে। সংস্থার তরফে ভাইস প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কানাহুয়াতি এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, সংস্থার রুটিন পরীক্ষানিরীক্ষার সময় এই গাফিলতি খুঁজে পেয়েছেন সংস্থার আধিকারিকরাই। তবে ফেসবুক সংস্থার বাইরে এই পাসওয়ার্ড কোনও ভাবেই কারও হাতে পড়েনি। যদিও গত ৮ বছর ধরে ২০ হাজারেরও বেশি কর্মীর কাছে এই সব পাসওয়ার্ড ‘দৃশ্যমান’ থাকায় তা কতটা সুরক্ষিত, সে সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন একাধিক বিশেষজ্ঞ।
এর আগে গত বছর অক্টোবর মাসেই এক হ্যাকার ফেসবুকের প্রায় ৩ কোটি ব্যক্তিগত তথ্য ‘চুরি’ করে নিয়েছিল। তার মাসকয়েক আগেই প্রায় ৮১,০০০ গ্রাহকের ব্যক্তিগত পোস্ট ও তথ্য সংস্থার সার্ভার থেকে ‘চুরি’ করে অনলাইনে প্রকাশ্যেই তা বিক্রির দাবি করেছিলেন। দু’ক্ষেত্রেই ফেসবুকের গ্রাহকতথ্য জমা রাখার সার্ভারের গোপনীয়তা বিধি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। তারপর এমন একটা গাফিলতি নিয়ে ফেসবুকের কাছে তেমন উত্তর দেওয়ার মত কিছুই নেই।
ফেসবুক জানিয়েছে, এই তথ্য সংস্থার কোনও কর্মী দ্বারাও কোনও ভাবে সংস্থার বাইরে যায়নি বা তার অন্য কোনও রকম অপব্যবহার হয়নি। এই গাফিলতি ধরা পড়ার পর, যথাযথ গোপনীয়তার মোড়কে মুড়ে ফেলা হয়েছে। পেদ্রো জানিয়েছেন, “কী ভাবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ডের মতো অত্যন্ত গোপন তথ্য এনক্রিপশনের আওতায় না রেখে সাধারণ টেক্সট ফর্ম্যাটে রাখার মত অ্যাপ-প্রোগ্রামিং করার অমার্জনীয় অপরাধ যারা করেছিলেন, তাদের খুঁজে বের করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে”। পাশাপাশি ফেসবুকের এই শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন, “প্রধানত ফেসবুক লাইট ভার্সান-এর অ্যাপ ব্যবহাকারীদের অ্যাকাউন্টের তথ্যই এ ভাবে বেশি ‘ক্ষতিগ্রস্ত’ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সব গ্রাহককে আলাদা ভাবে বার্তা পাঠিয়ে ‘পাসওয়ার্ড’ বদলে ফেলার অনুরোধ জানানো হবে”।