বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশের কয়েক ঘন্টা আগেই দলীয় কর্মীদের মধ্যে মতোবিরোধের জেরে শুরু হয়েছিল গোষ্ঠী কোন্দল৷ তখন সবে এক-এক করে কিছু প্রার্থীর নাম বাইরে আসতে শুরু করেছে৷ কিন্তু ওই প্রার্থীদের নামই কী চূড়ান্ত? প্রশ্নচিহ্ন ঝুলছিল৷ কিন্তু সব কিছুকে ছাপিয়ে গিয়ে তখন দলের অন্দরে শুরু হয়ে গিয়েছে কাদা ছোঁড়াছুড়ি৷
প্রার্থী হিসেবে যাঁদের নাম বাইরে আসছিল, সোশ্যাল মিডিয়াতে বিজেপির একশ্রেণীর নেতারা তাঁদেরকে ইঙ্গিত করে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করতে শুরু করেন৷ সন্ধ্যায় বিজেপি প্রার্থী তালিকা কেন্দ্রীয় দফতর থেকে প্রকাশিত হওয়ার পর অসভ্যতার বাঁধ ভেঙে যায়৷ উত্তর ২৪ পরগণা থেকে কোচবিহার, বর্ধমান, দমদম – দলের প্রার্থীর প্রতি অসন্তোষ দেখাতে থাকেন কিছু নেতা৷
ইতিমধ্যেই বারাসতের প্রার্থী ডা. মৃণাল কান্তি দেবনাথ এবং কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী নিতীশ প্রামাণিকে বদল করার দাবি উঠেছে দলের অভ্যন্তরে৷ সূত্রের খবর, তাঁর বদলে কোচবিহারের প্রার্থী পদে জেলা সম্পাদক দীপক বর্মনের নাম প্রস্তাব করেছে কোচবিহার জেলা কমিটি। বীরভূমের প্রার্থী দুধকুমার মণ্ডলের প্রার্থীপদ পাওয়া নিয়েও বিজেপির একাংশের প্রশ্ন রয়েছে। দার্জিলিঙের জটও এখনও কাটানো যায়নি।
নাম না করলেও প্রশ্ন চিহ্নের মুখে রাখা হয়েছে বিজেপির দক্ষিণ কলকাতার প্রার্থী চন্দ্র কুমার বসুকে৷ কোচবিহার কেন্দ্রের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে নিয়ে অসন্তোষ মাত্রা ছাড়িয়েছে৷ মালদহ উত্তরে খগেন মুর্মকে প্রার্থী করা নিয়ে ইতিমধ্যে বিজেপির অন্দরে অশান্তি দেখা গিয়েছে। নীচুতলার কর্মীদের ক্ষোভ বেড়েছে। হুগলীতে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির অন্যতম সহ সভাপতি রাজকমল পাঠক৷ কিন্তু প্রার্থী তালিকায় নিজের নাম না দেখে দল থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন৷ রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন রাজকমলবাবু৷ উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধেও একই ধরণের প্রচার শুরু হয়েছে৷ অভিযোগ এলাকাভিত্তিক প্রচার করেছে বিজেপির কিছু কর্মীই৷
![প্রার্থী ঘোষণার সাথে সাথেই পদ্মবনে মত্ত লড়াই](https://ekhonkhobor.com/wp-content/uploads/2019/03/026ac6c1-8d4f-4e46-972d-5e2005709059.jpg)