জলের যথাযথ সংরক্ষণ ও ব্যবহারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অন্যতম সফল প্রকল্প ‘জল ধরো জল ভরো’। আজ শুক্রবার ‘বিশ্ব জল দিবসে’ এই প্রসঙ্গে টুইট করেন মমতা। সেখানে তুলে ধরেন এই প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান।
ওই টুইটে মমতা লেখেন, ‘আজ বিশ্ব জল দিবস। জল সংরক্ষণে বাংলায় ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্প অত্যন্ত সফল। এখনও পর্যন্ত ২.৬২ লক্ষ জল সংস্থা তৈরি বা পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১১-১২ অর্থবর্ষে ‘জল ধরো জল ভরো’ প্রকল্পের সূচনা হয়েছিল। মূল উদ্দেশ্য জলের যথাযথ সংরক্ষণ করা। তার জন্য ট্যাঙ্ক, পুকুর, রিসার্ভার, খাল ইত্যাদি তৈরি করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে একদিকে জল সংরক্ষণ যেমন করা হচ্ছে, তেমনই যারা পুকুর কাটছে সেই দিনমজুররাও কাজের মাধ্যমে মজুরি পাচ্ছেন। প্রাকৃতিক জলাশয়গুলির সংরক্ষণের পাশাপাশি, ওয়াটার ডিটেনশন সেন্টার কাঠামো তৈরি ও ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য জলাশয়ের পুনরায় খননের মাধ্যমে এই দপ্তর জলাশয় তৈরির কাজও করছে। জল ধরে রাখার জন্য চেক বাঁধ, জল সংগ্রহের ট্যাংক, ভূপৃষ্ঠস্থ ছোটখাট সেচ প্রকল্প ইত্যাদি নির্মাণ করা হচ্ছে, যাতে পরে দরকার মত ওই জল সেচ ও বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যবহার করা যায়। কৃষি কাজ ছাড়াও, মৎস্যচাষ, ও পশু প্রতিপালনের কাজেও এই জলাশয়গুলি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে, যাতে গ্রামীণ মানুষের আয় বাড়ে। ১০০ দিনের কাজের অধীনে ট্যাঙ্ক ও বিভিন্ন জলাশয়ের খনন, পুনঃখননের কাজ করা হয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সহযোগিতায়। এ বিষয়ে ব্যাপক জনসচেতনতা কর্মসূচী চালু হয়েছে সারা রাজ্য জুড়ে। ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে, বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৩,৩৭০টি জলাশয় খনন করা হবে।