নির্বাচন কমিশন সোশ্যাল মিডিয়ায় রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন দলের প্রার্থীদের প্রচার নিয়ন্ত্রণে রাখতে নৈতিক আচরণ বিধি চালুর অভিনব এক সিদ্ধান্ত নিল। এই আচরণবিধি মেনেই প্রতিটি রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীকে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার চালাতে হবে৷ ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপ, শেয়ারচ্যাট, বিগো টিভির মতো সামাজিক নেটওয়ার্কিং সাইটগুলিওনির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত নৈতিক আচরণ বিধি চালু করবে৷ কোনও দল বা প্রার্থী সেই আচরণ বিধি ভাঙলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে সামাজিক নেটওয়ার্কিং সংস্থাগুলিকে।
গতকাল নয়াদিল্লীতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সোশ্যাল সাইটের প্রতিনিধিদের দীর্ঘ তিন ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়৷ সেখানে কমিশন জানিয়েছে যে, সামাজিক মাধ্যমের প্রচারকে কড়া হাতে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাঁরা। এই ক্ষেত্রে আদর্শ আচরণবিধি পালনের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা৷ বৈঠকে সব থেকে বেশি সময় আলোচনা হয়েছে ‘লিন পিরিয়ড’ নিয়ে৷ ভোট গ্রহণের আগের ৪৮ ঘণ্টা কমিশনের নির্ধারিত আদর্শ আচরণবিধি মেনে, কোনো প্রচার কাজ চালানো যাবে না। তখন কী ভাবে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলি বিভিন্ন প্রচার বন্ধ রাখতে কিভাবে সক্রিয় থাকবে তা জানতে চাওয়া হয়। সেখানেও কমিশনকে আশ্বস্ত করেছে সোশাল মিডিয়া সাইটগুলির প্রতিনিধিরা। এই ‘লিন পিরিয়ড’এ কোনওভাবেই যাতে বাড়তি কোনও সুবিধে না পায় কোনও রাজনৈতিক দল, সেদিকে কড়া দৃষ্টি রাখা হবে। কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী যদি সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করতে চান, তাহলে তার বিজ্ঞাপনের ভাষা ও বিবরণ আলাদা করে পরীক্ষা করা হবে।
মিথ্যে খবর বা ফেক নিউজ বন্ধ করার জন্য বিশেষ ভাবে চিন্তিত কমিশন৷ এই নিয়ে আলোচনার সময় প্রথমে গুগ্ল জানায়, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁরা ফেক নিউজের প্রচার বন্ধ করে দিতে পারবে৷ নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা প্রস্তাব দেন যে, ‘নির্দিষ্ট কিছু শর্ত আরোপ করা হোক৷ সামাজিক মাধ্যমে যারা রাজনৈতিক প্রচার করছেন, তাঁদের সেই সব শর্ত অক্ষরে অক্ষরে মানতে হবে। তা না হলে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে’। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে প্রতিটি সাইটই দাবি করেছে তাঁদের গ্রিভান্স আধিকারিকরা সদা সতর্ক থাকছেন, প্রাথমিক ভাবে তাঁরাই যে কোনও বিতর্কিত পোস্টকে ডিলিট করার নির্দেশ দেবেন৷