ইস্টবেঙ্গলের বিনিয়োগকারী সংস্থা সুপার কাপ খেলার বিপক্ষে, অন্যদিকে লাল-হলুদ কর্তারা খেলার পক্ষে। এই নিয়ে এক মত পার্থক্য তৈরি হয় দুই তরফে। বিনিয়োগকারী সংস্থার এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি লাল-হলুদ কর্তারা। ইতিহাস তুলে ধরে লাল-হলুদ কর্তাদের বক্তব্য ছিল, খেলা ছেড়ে চলে যাওয়া ইস্টবেঙ্গলের ইতিহাস নয়। লাল-হলুদের প্রাক্তন ফুটবলার থেকে শুরু করে সমর্থকরা কর্তাদের কাছে সুপার কাপে অংশ নেওয়ার অনুরোধ জানান। এই সমস্যার সমাধানের জন্য সোমবার কার্যকরী সমিতির মিটিং ডাকা হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবতাঁবুতে। মিটিংয়ের শেষে কর্তারা জানাচ্ছেন, ইস্টবেঙ্গলের চেয়ারম্যান অজিত আইজ্যাককে চিঠি পাঠিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার অনুরোধ করা হবে।
গতকাল বিকেল থেকেই পোস্টার নিয়ে ক্লাব তাঁবুর সামনে জড়ো হন সমর্থকেরা। তাঁদের দাবি, সুপার কাপ থেকে নাম প্রত্যাহার করা চলবে না। আগামী মরসুমে আইএসএলেও খেলতে হবে। আইএসএল, সুপার কাপ, চেন্নাই সিটি এফসি বনাম মিনার্ভা এফসি ম্যাচ নিয়ে ফেডারেশনে অভিযোগ না জানানো থেকে জবি জাস্টিনের ক্লাব ছাড়ার প্রসঙ্গ— সমস্তটা নিইয়ে প্রায় আড়াই ঘণ্টা আলাপ আলোচনা হয়। পাঁচ সদস্যের কমিটিও তৈরি করা হয়। ক্লাবের অন্যতম শীর্ষ কর্তা দেবব্রত সরকার সভা শেষে জানান, “সর্বসম্মত ভাবে সুপার কাপ ও আইএসএলে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রাক্তন ফুটবলার থেকে সাধারণ সমর্থক, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আবেদন করেছেন খেলার জন্য। তাঁদের সম্মান জানাতে চেয়ারম্যানকেও অনুরোধ করব আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে”।
আই লিগের আটটি দল না খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সুপার কাপের ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতি সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব চিঠি পাঠান ইস্টবেঙ্গলের সভাপতিকে। এর পরেই কর্ম সমিতির সভা ডাকা হয়। আমন্ত্রণ জানানো হয় বিনিয়োগকারী সংস্থার প্রধান কর্তাকেও।