চলতি মাসের ২৩ তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএল। আগামী শনিবার চেন্নাই সুপার কিংসের প্রতিপক্ষ বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। প্রথম প্রতিপক্ষ বিরাট বাহিনী হলেও একদম চিন্তিত নন চেন্নাই সুপার কিংসের তারকা অফস্পিনার হরভজন সিং। তিনি খুব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চেন্নাই ভয় পায় না। তাঁরা সকলেই ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলবেন। গত মরসুমে ১৩ ম্যাচে নিয়েছিলেন সাত উইকেট নিয়েছিলেন হরভজন। এই অফস্ফিনার বলেছেন, “সিএসকে অতীত রেকর্ড দেখলে বোঝা যাবে, এই দল বরাবর আগ্রাসী ক্রিকেট খেলেছে। এই দলের মধ্যে ভয় বলে কোনও শব্দ নেই। গত মরসুমে যে মানসিকতা নিয়ে আমরা খেলেছি, সেটাই বজায় থাকবে”।
রবিবার চেন্নাই সুপার কিংসের প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে প্রায় বারো হাজার সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। সিএসকে নিয়ে ভক্তদের এই উন্মাদনা ক্রিকেটারদের মনোবল অনেক গুনে বাড়িয়ে দিচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রস্তুতি ম্যাচেই যদি এত সমর্থক এসে থাকেন, তা হলে বোঝাই যাচ্ছে, প্রথম ম্যাচে গ্যালারির রং কী দাঁড়াবে। সিএসকে সমর্থকদের উল্লাস এবং গর্জনই আমাদের প্রধান শক্তি। সিএসকে-র মতো দলে খেললে প্রত্যাশার চাপ সহ্য করতেই হবে। কিন্তু ঘটনা হল, আমাদের দলের প্রত্যেক ক্রিকেটার খুব ভাল জানেন, কী ভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ হাসিল করতে হয়। তাই প্রথম ম্যাচ নিয়ে খুব উদ্বিগ্ন নই।’’
প্রথম ম্যাচে চিদাম্বরম উইকেটের চরিত্র নিয়ে কথা উঠলে হরভজন বলেছেন মাঠে স্পিন সহায়ক উইকেটই হতে চলেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘চেন্নাইয়ে বরাবর স্পিন সহায়ক পিচ হয়েছে। এখানে স্পিনাররা অনেক বেশি সুবিধা পেয়ে থাকে। উইকেটে কোনও পরিবর্তন হবে না।’’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘‘চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের সঙ্গে আমার অনেক সুন্দর স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এখানকার সার্বিক পরিবেশটা আমার দারুণ লাগে। প্রথম ম্যাচ থেকেই নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই।’’
সিএসকে ব্যাটিং কোচ মাইকেল হাসিও শনিবারের ম্যাচ নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন, “ব্যাটসম্যানদের বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। তা হলেই জয় পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলব। সেটাই আমাদের এগিয়ে রাখবে” চেন্নাইয়ের অফস্ফিনারের কথায় ও সেই ঝাঁঝই পাওয়া গেল। হরভজন জানালেন, “গত বার আমরা ঘরের মাঠে খুব বেশি ম্যাচ খেলতে পারিনি। চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে আমাদের হারানো সহজ নয়”।