বিগত ৫ বছর ধরে মোদীর শাসনকালে নোটবন্দী, জিএসটির মতো জনবিরোধী সিদ্ধান্তগুলির কারণে একাধিক বার ধাক্কা খেয়েছে দেশের অর্থনীতি। একদিকে যেমন বেড়েছে রান্নার গ্যাসের দাম, তেমনি বেড়েছে বেকারত্বের হারও। এ হেন ‘আচ্ছে দিন’-এর ঠেলায় অতিষ্ঠ দেশবাসী। এবার তাই মোদী হঠাতে বদ্ধপরিকর গোটা দেশ। জানা গেছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশের ৫০টি শহরে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারে নামতে চলেছে কম করে ৭০টি সংগঠন।
সোমবার ওই সংগঠনগুলির তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীর সরকার প্রতিশ্রুতি মতো কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। ভোটারদের কাছে তা তুলে ধরা হবে। ইয়াং ইন্ডিয়া ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেশন কমিটি জানিয়েছে, এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে উত্তরপ্রদেশের বদায়ুন থেকে তাদের বিজেপি বিরোধী প্রচার শুরু হবে। ওয়াইআইএনসিসি-র নেতা সাই বালাজি বলেন, মোদী বলেছিলেন প্রতি বছর ২ কোটি করে বেকারের চাকরি হবে। সেখানে ২ হাজার চাকরিও দিতে পারেননি তিনি।
অন্যদিকে, সমাজবাদী যুবজন সভার নাসির আহমেদ জানান, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি ও রাষ্ট্রীয় লোকদল রাস্তায় নেমে সাধারণ মানুষের কাছে বিজেপিকে ভোট না দেওয়ার আর্জি জানাবে। আবার এসএসসি আন্দোলনের নেতা গোপাল তিওয়ারির কথায়, দেশের যুবসমাজের কাছে সময় এসেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার। অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে অ্যাপ্রেন্টিসের নেতা আশিসও মোদীর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বলেন, এলাহাবাদে সাফাইকর্মীদের পা ধুয়ে নিয়ে মোদী স্রেফ নাটক করেছেন। আক্ষরিক অর্থে তিনি তাঁদের কথা কখনোই ভাবেননি।
উল্লেখ্য, ১১ এপ্রিল লোকসভার প্রথমদফার ভোটগ্রহণ। এবং শেষ ও সপ্তম দফার ভোট ১৯ মে। এই এক মাসেই মূলত ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যাবে মোদী তথা বিজেপির। কিন্তু বিরোধীদের পাশাপাশি দেশের ৭০টি সংগঠন যেভাবে মোদী বিরোধীতায় সুর চড়াচ্ছে, তাতে আরও খানিকটা ব্যাকফুটে চলে গেল গেরুয়া শিবির।