এবার পিঙ্ক ক্যাব চালিয়ে স্বনির্ভর হচ্ছেন বাংলার মহিলারা। কিছুদিন আগে নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নারীদের স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য ১০টি গোলাপি ক্যাবের চাবি তুলে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের গাড়ি কেনার জন্য দেড়লক্ষ টাকা দেবেন বলে ঘোষণাও করেন। ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারি। মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ সারা রাজ্যের মহিলাদের জন্য নতুন দিক খুলে দিয়েছে।
কেউ অষ্টম শ্রেণী পাশ কেউ স্নাতক শেষ করেছেন। নির্ভরশীলতায় কেউ স্বচ্ছন্দ নয়। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের এই উদ্যোগ অনেক মহিলাদের নতুন করে স্বপ্ন দেখাচ্ছে। অর্চনা মুণ্ডা উত্তর ২৪ পরগনার বিরসামুণ্ডা পল্লীর বাসিন্দা। তিনি ক্লাস এইট পাশ। স্বামী একটি সংস্থার অস্থায়ী কর্মী, দুটি সন্তান আছে অর্চনার। সংসার চালাতে দিনমজুরের কাজ করছিলেন। পরে গাড়ি চালানো শিখে অন্যের গাড়ি চালাতেন। এখন তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। পিঙ্ক ক্যাব চালিয়ে ভালো আয়ের মুখ দেখছেন তিনি। তারা সমাদ্দারের কথাই বলা যাক।
তারার স্বামী গ্রিল কারখানার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। সংসার চালানোর জন্য অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন তারা। তারপর গাড়ি চালানো শেখেন। তারার তিন সন্তান। কলকাতার আনোয়ার শাহ রোডে তাঁর বাড়ি।
নিতু দে–র স্বামী দীর্ঘদিন অসুস্থ। দুই সন্তান রয়েছে তাঁদের। তিনিও অন্যের গাড়ি চালাতেন। তিনি রাজারহাট–গোপালপুর রাধাকৃষ্ণ পল্লীর বাসিন্দা। পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন সুপর্ণা চ্যাটার্জি (দাস)। স্নাতকের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। একটি সন্তান। স্বামী একটি সংস্থার অস্থায়ী কর্মী। সুপর্ণা ড্রাইভিং শিখে অন্যের গাড়ি চালাতেন। রাজারহাট– গোপালপুর বেড়াবেড়ি ঘোষপাড়ার বাসিন্দা। এরা সকলেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছেন। তাঁরা সকলেই চান আরও মহিলা এই কাজে এগিয়ে আসুক, নিজের পায়ে দাঁড়াক। গোলাপি ক্যাবের চাবি পেয়ে তাঁরা উচ্ছ্বসিত। কারণ নির্ভরতা বা অভাবের কাছে হার মানতে নারাজ এই সব মহিলাদের কাছে ভালো থাকার উপায় দেখিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।