একদিকে টাকার অভাবে সময়মতো বেতন দিতে পারছে না রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিএসএনএল। তারওপর বিএসএনএল ৭০০ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা পাচ্ছে না অনিল আম্বানি গোষ্ঠীর রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস-এর (আরকম) কাছ থেকে৷ আর তাই ওই অর্থ আদায় করতে অনিল আম্বানীর সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করতে ন্যাশনাল কোম্পানি ল’ ট্রাইব্যুনালের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিএসএনএল৷
একদিকে দেনার দায়ে জর্জরিত রয়েছে অনিল আম্বানি, ফলে এনসিএলটির কাছে আবেদন করে স্বেচ্ছায় দেউলিয়া প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে চেয়েছে। সেক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাদের সম্পত্তি বিক্রি করা সম্ভব হবে বলেই এই প্রক্রিয়ায় যেতে চেয়েছে অনিল আম্বানি গোষ্ঠীর সংস্থাটি।
আরকম-এর কাছে এরিকসনের পাওনা ২৬০ কোটি টাকা। ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের নেতৃত্বাধীন ব্যাংকের একটি দল যাতে সেই টাকা সরাসরি এরিকসনকে মিটিয়ে দেয় তার জন্য অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানায় অনিল আম্বানির সংস্থাটি। যদিও, আরকম-এর এমন আবেদনের বিরোধিতা করেছে ব্যাংকগুলি। কারণ এক্ষেত্রে তাদের যুক্তি, আরকম-এর আবেদন মঞ্জুর হলে সাধারণের টাকা ব্যক্তিগত পাওনা মেটাতে ব্যয় করা হবে।
এদিকে বিএসএনএল কর্তাদের বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বকেয়া পাওনা না মেটানোয় ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি হিসাবে আরকম-এর জমা দেওয়া ১০০ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করে নিয়েছে বিএসএনএল। তাছাড়া ৪ জানুয়ারি আরকম-এর কাছ থেকে বকেয়া ৭০০ কোটি টাকা উদ্ধারের জন্য আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে তারা। এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়ার জন্য সিং অ্যান্ড কোহলি ল’ ফার্মকে বিএসএনএল নিয়োগ করেছে।এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির সমস্ত সার্কেল অফিস থেকে প্রয়োজনীয় ইনভয়েস জোগাড় করতে কিছুটা সময় লাগায় এই মামলা দায়ের করতে দেরি হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ,এরিকসনকে পাওনা ৫৫০ কোটি টাকার মধ্যে ৪৫৩ কোটি টাকা আরকম মিটিয়ে দেওয়া হবে বলে এনসিএলএটি-র সামনে দু’পক্ষ রফা হয়েছিল। অথচ অনিল আম্বানির গোষ্ঠীর সংস্থাটি সেই টাকা মেটাতে গিয়ে একেবারে হিমশিম খাচ্ছে। এরিকসনের অর্থ মেটানোর জন্য মার্চ পর্যন্ত সময় দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। ওই সময়ের মধ্যে পাওনা না মেটাতে পারলে অনিল আম্বানিকে তিন মাস জেলে যেতে হবে বলে আদালত তার রায়ে জানিয়ে দিয়েছে৷
