কন্যাদের পাত্রকে পছন্দ নয়, তাই চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ আরেক পাত্রের কথা ভেবে রেখেছিলেন। নতুন পাত্র থুড়ি বাঘটি পাটনার চিড়িয়াখানা আছে। তাঁর বয়স পাঁচ বছর। তাঁকেই খুব শিগগির আলিপুর চিড়িয়াখানায় নিয়ে আসা হবে। দুই বাঘিনী পায়েল এবং রানির কথা ভেবেই তাকে নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে আলিপুর চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর আশিস সামন্ত বলেন, “প্রজননের জন্য বৃহস্পতিবারই উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারি পার্ক থেকে আমরা স্নেহাশিসকে নিয়ে এসেছি। কিন্তু কোনও কারণে পায়েল এবং রানি যদি তাকে মেনে না নেয়, সেটি চিন্তা করেই আমরা পাটনা থেকে আরেকটি বাঘ নিয়ে আসছি”।
আলিপুর চিড়িয়াখানার দুই বাঘিনী পায়েল এবং রাণী দু’জনের বয়স ইতিমধ্যে ১০ বছর পার হয়ে গেছে। ব্যাঘ্র সংরক্ষণের জন্য বাঘের বংশবৃদ্ধির খাতিরে তারা যাতে শাবকের জন্ম দিতে পারে সেকারণে বিশাল নামে একটি বাঘের সঙ্গে তাদের সখ্যতা ঘটানোরও চেষ্টা করেছিলেন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাঘিনীরা বিশালকে পাত্তা দেয়নি। তারপর ওডিষার নন্দনকানন থেকে স্নেহাশিসকে নিয়ে আসা হয়েছিল।
এই চিড়িয়াখানাতেই ২০০৫ সালে শেষ বাঘটির জন্ম হয়েছিল। বর্তমানে রাণী বা পায়েলের একটু বয়স হলেও তাদের উপর রাখছেন কর্তৃপক্ষ। এবিষয়ে ডিরেক্টর বলেন, “দুটি বাঘিনীই সুস্থ এবং স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভালো। ফলে মা হওয়ার ক্ষেত্রে এদের কোনও সমস্যা হবে না বলেই আমরা মনে করছি”। পাটনার চিড়িয়াখানা থেকে বাঘের সঙ্গে আসবে একজোড়া শম্বর এবং দুই জোড়া ব্ল্যাকবাক হরিণ। তার বদলে আলিপুর চিড়িয়াখানা থেকে পাটনাকে দেওয়া হবে একটি জেব্রা।