বাংলায় প্রায় ৭২ লক্ষ কৃষক পরিবারের বাস। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার এই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষকদের জন্য মমতা এনেছেন বিভিন্ন প্রকল্প, বীমার সুবিধা। মকুব করা হয়েছে কৃষি জমির খাজনা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই বাম আমলের তুলনায় কৃষকদের আয় বেড়েছে প্রায় তিনগুণ।
মমতার আমলে বাংলার কৃষকদের এই সাফল্যের স্বীকৃতি দিতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য পরপর ৫ বার ভারত সরকারের থেকে ‘কৃষিকর্মন’ পুরষ্কার পেয়েছে বাংলা।
প্রাকৃতিক বিপর্য্যয়ে চাষের ক্ষতি হয়। মাথায় হাত পড়ে যায় কৃষকের। এমন পরিস্থিতিতে যাতে বাংলার কৃষকদের পড়তে না হয়, সে জন্য কৃষকদের অনুদান দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন মমতা। এখনও পর্যন্ত ৬৬ লক্ষ কৃষক পরিবারকে ২৫০০ কোটি টাকা আর্থিক অনুদান দিয়েছে মমতার সরকার। নষ্ট হয়ে যাওয়া ফসলের ক্ষতিপূরণের জন্য চালু হয়েছে বাংলা শস্য বিমা যোজনা। এই যোজনার সম্পূর্ন প্রিমিয়াম দেয় রাজ্য সরকার। এর ফলে বাংলার কৃষকরা সম্পূর্ন বিনা খরচায় শস্যবীমার সুবিধা পান। এছাড়াও সমস্ত কৃষিজমির খাজনা ও কৃষি জমি হস্তান্তরের মিউটেশন ফি-ও মকুব করে দেওয়া হয়েছে।
বাংলার কৃষকরা খুশি ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের জন্যও। এই প্রকল্প কৃষকদের জন্য নতুন অ্যাসিওরেন্স মডেল। এই প্রকল্প অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী কোনও কৃষকের মৃত্যু হলে ২ লক্ষ টাকা পাবে তাঁর পরিবার। দুর্ঘটনা, রোগে বা স্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রেও এই শর্ত প্রযোজ্য। আর কৃষকদের জন্য দ্বিতীয় সুবিধা হল চাষাবাদে আর্থিক সাহায্য। প্রতি একর জমির জন্য দু’দফায় ৫ হাজার টাকা পাবেন কৃষকেরা। সব মিলিয়ে মমতার আমলে বাংলার কৃষিতে এক নয়া বিপ্লবের সূচনা হয়েছে। যার সুফল পাচ্ছেন এই রাজ্যের লক্ষ লক্ষ কৃষক পরিবার।
