পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। উঠছে দেশপ্রেমের জিগিরও৷ আর এই দেশপ্রেমকে পুঁজি করেই ভোটের আগে নানা রাজনৈতিক কর্মসূচি নিচ্ছে বিজেপি৷ বিরোধীদের তরফে এমন অভিযোগ তো ছিলই। পাশাপাশি নাম না করে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটপ্রচারে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছিলেন প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান অ্যাডমিরাল এল রামদাসও। অবশেষে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নোটিস দিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিল ভোটের প্রচারে সেনাবাহিনীর জওয়ানদের ছবি ব্যবহার করা যাবে না। ওই নোটিসে বলা হয়েছে, দেশের সেনাবাহিনী একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। তাকে ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
সম্প্রতি বিজেপির পক্ষ থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় একটি পোস্টার দিয়েছে বিজেপি। সেখানে দেখা যাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের সঙ্গে রয়েছেন বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। নীচে লেখা মোদী থাকলে সবকিছুই সম্ভব(মোদী হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়)। ওই পোস্টারটি নিয়ে বিভিন্ন মহল থেকে আপত্তি তোলা হয়। পোস্টারের বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে আনেন প্রাক্তন আপ নেতা যোগেন্দ্র যাদব। তারপরেই এ নিয়ে নোটিস জারি করে কমিশন। পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দলকে জানিয়ে দেওয়া হয়, দলের নেতারা যেন ভোটের প্রচারে কোনও সেনাকর্মীর ছবি ব্যবহার করে প্রচার না করেন।
প্রসঙ্গত, পাক হেফাজত থেকে অভিনন্দন বর্তমান মুক্তি পাওয়ার পরই বিভিন্ন মহলে এ নিয়ে বিজেপিকে কৃতিত্ব দেওয়া শুরু হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি অভিনন্দনকে ফিরিয়ে আনার কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীকে দিতে গিয়ে বলেন, মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের এক সন্তান ফেরত আসার পেছনে কাজ করেছে এক স্বয়ংসেবকের শৌর্য। উল্লেখ্য, পুলওয়ামার জঙ্গী হামলা, বালাকোটে বিমানবাহিনীর বোমাবর্ষণ এবং ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের নাম নির্বাচনী প্রচারে যথেচ্ছ ব্যবহার করছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। এই অভিযোগ করে এবং এর বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশ্যে একটি খোলা চিঠি লিখেছিলেন প্রাক্তন নৌসেনা প্রধান রামদাসও।