‘লোকসভায় ৩৫ শতাংশ তৃণমূলের মহিলা সাংসদ রয়েছে৷ অন্য কোনও দলের এত সংখ্যায় মহিলা সাংসদ নেই৷ এই পরিসংখ্যান আরও বাড়ানোর চেষ্টা করব।’ আজ আন্তর্জাতিক নারী দিবসের পদযাত্রার পর, এই সংকল্পই নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি, নারী দিবসের দিনই পুরোদস্তুর লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করে দিলেন বাংলার অগ্নিকন্যা৷
শুক্রবার মহিলা তৃণমূল সেলের ব্যানারে শ্রদ্ধানন্দ পার্ক থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ছিলেন শশী পাঁজা, দোলা সেন, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যর মতো নেত্রীরাও। মিছিলে মহিলাদের নিয়ে রাজ্য সরকারের একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প তুলে ধরা হয়৷ বাংলাই যে মহিলাদের জন্য সবচেয়ে বেশি ভেবেছে ও কাজ করেছে মিছিলের ব্যানারের মধ্যে দিয়ে তা তুলে ধরা হয়৷
আমর্হাস্ট স্টিট, বউবাজার, এসএন ব্যানার্জি রোড ধরে ডোরিনা ক্রসিং-এ শেষ হওয়ার কথা ছিল মিছিল৷ কিন্তু হঠাৎই সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে রুট বদল করে মিছিল বাঁক নেয় লেনিন সরণির দিকে৷ ধীরে ধীরে মিছিল পৌঁছোয় ধর্মতলায়৷ সেখানে এক অস্থায়ী মঞ্চে বক্তৃতা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো৷ তিনি জানিয়ে দেন, ‘সংসদে একমাত্র এ রাজ্যেরই ৩৫ শতাংশ সাংসদ মহিলা৷’ সেইসঙ্গে এদিন তিনি এই প্রতিশ্রুতি দেন যে, ‘আগামীদিনে এ রাজ্য থেকে সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে যাতে ৩৫ শতাংশের বেশি মহিলা সদস্য পাঠানো যায় তা দেখবে দল৷’
আগেই তৃণমূলের মহিলা সেলের নেত্রী তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, নারী দিবসের মিছিলে রাজ্য সরকারের কন্যাশ্রী, রুপশ্রী, স্বাস্থ্যসাথীর মতো যুগান্তকারী প্রকল্পগুলিকে তুলে ধরা হবে৷ সেই মতোই, মমতা এদিন জানান, ‘কন্যাশ্রী বিশ্বসেরা হয়েছে৷ স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিবারের প্রধান হিসেবে নারীকে গুরুত্ব দিয়েই স্মার্টকার্ড প্রদান করবে সরকার৷’ শুধু তাই নয়, এদিন নারীদের অধিকার নিয়ে মোদী সরকারকেও আক্রমণ করতে ভোলেননি মমতা৷ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নারীদের নিয়ে ভাবেনি কেন্দ্র৷ ভেবেছি আমরা৷ আগামীতে আরও ভাবার সুযোগ রয়েছে৷ নারীরাই জয় করবে গোটা বিশ্ব৷’