ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার মানুষের উন্নয়নে সদাসচেষ্ট থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সারাবছর ধরেই বিভিন্ন প্রকল্প জনসাধারণকে উপহার দেন তিনি৷ সেগুলি আবার আন্তর্জাতিক স্তরে পুরষ্কারও লাভ করে। যেমন রাজ্য সরকারের খাদ্য দফতরের ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পটি মনোনীত হয়েছিল স্কচ পুরস্কারের জন্য৷ শুধু মনোনীতই নয়, ‘খাদ্যসাথী’ পেয়েছে ‘সেরার সেরা’ সম্মানও।
মমতার তৈরী করা সেই ‘রেশন মডেল’ অনুসরণ করতে হবে কেন্দ্রকেও, সারা ভারত রেশন দোকানদারদের সংগঠন। তাদের দাবি না মানলে লােকসভা ভোটে বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা। ‘সকলের জন্য খাদ্য’ এবং পর্যাপ্ত কেরোসিন তেল, দোকানদারদের কমিশন বাড়ানাের দাবিতেই দিল্লীর যন্তরমন্তরের ধর্নায় আওয়াজ তুলল সারা ভারত রেশন দোকানদারদের সংগঠন।
প্রসঙ্গত, রেশনের মাধ্যমে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার অধীনে কেন্দ্র সস্তায় চাল এবং গম দিলেও খাদ্য সুরক্ষার বাইরে থাকা নাগরিকদের খােলা বাজার থেকেই খাদ্যশস্য কিনতে হয়। তবে ব্যতিক্রম বাংলা। এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্প চালু করে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার অধীনে থাকা রাজ্যের বাসিন্দা তাে বটেই, বাকিদেরও সস্তায় চাল, গম দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। রেশন দোকানের মাধ্যমেই তা মেলে।
এবার গােটা দেশেই এই পথ অনুসরণ করার দাবি জানিয়েছে দোকানদারদের সংগঠন অল ইন্ডিয়া ফেয়ার প্রাইস শপ ডিলার্স ফেডারেশন। যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসেছেন তাঁরা। একই সঙ্গে মোদী সরকারের ওপর চাপ দিতে রেশন দোকানে মাল তোলা এবং বিক্রিও বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। বাংলায় যেহেতু সকলেই খাদ্যশস্য পায়, তাই এখানে ওই কর্মসূচী বাদ দেওয়া হয়েছে। যন্তরমন্তরের ধর্নামঞ্চে নিজেদের সংগঠনের পােস্টার ব্যানার টাঙানোর পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মধ্যমণি করে রাহুল গান্ধী, চন্দ্রবাবু নাইডু, শারদ পাওয়ার, অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেজস্বী যাদবের মতো ইউনাইটেড র্যালির নেতা-নেত্রীদের ছবি লাগানো হয়েছে।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসু বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমাদের দাবি না মানলে বিজেপি এবার শিক্ষা পাবে। ওয়েস্ট বেঙ্গল এম আর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নিখিলেশ ঘোষ, ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার্স জাতীয়তাবাদী সংগঠনের সভাপতি কাঞ্চন খানদের পাশে রেখে বিশ্বম্ভরবাবু বলেন, গোটা দেশে যে রেশন দোকান রয়েছে, তার মালিক, কর্মচারী এবং পরিবারের লোক যদি বিজেপিকে ভোট না দেয় তাহলেই যথেষ্ট। মােদীর হার নিশ্চিত, এমন দাবিও করেন তাঁরা। যাতে ভোটের আগে ফের বেকায়দায় কেন্দ্রের মোদী সরকার।