বন এবং বন্যপ্রাণী সংরক্ষণের কাজেও এগিয়ে মমতার বাংলা। বাংলার ১৯জন ফরেস্ট অফিসারকে পুরস্কার দিল ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো। বনকর্মীদের কাজে উৎসাহ বাড়ানোর লক্ষ্যে ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর পক্ষ থেকে শংসাপত্র এবং আর্থিক পুরস্কার দেওয়া হয়। সল্টলেকের বনভবনের প্রেক্ষাগৃহে এই আয়োজন করা হয়েছিল।
লালগড়ে পশুশিকার উৎসবকে নিয়ন্ত্রণে আনা এবং বেশকিছু চোরা শিকারিকে প্রতিরোধ করার মুখ্য ভূমিকা গ্রহণের জন্যে পুরস্কৃত করা হয় মেদিনীপুরের ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জ অফিসার পূরবী মাহাতোকে। এই অনুষ্ঠানে ১৯জন ফরেস্ট অফিসারকে এই শংসাপত্র এবং আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।
গত কয়েক বছরের কাজের নিরিখে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এনকে পান্ডে (পিসিসিএফএন্ড হপ), সিদ্ধার্থ বারুরী (পিসিসিএফ জেনারেল), রবিকান্ত সিনহা (পিসিসিএফচিফ ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন), পি.আর চন্দ (ডিরেক্টর সুন্দরবন বায়োসপিয়ার রিজার্ভ) এবং নিলাঞ্জন মল্লিক (ফিল্ড ডিরেক্টর সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ)।
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি , ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরো এবং বর্ধমান বন দফতরের শাখা পাচারের আগেই পুলিশের জালে বস্তাবন্দি করেছিল কচ্ছপসহ পাচারকারীদের। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা মারুতি সুইফটটিকে নজর রাখা হয়েছিল প্রথম থেকেই। এরপর বর্ধমানের পুরসলের কাছে গাড়িটি আসতেই গাড়িটিকে আটক করা হয়। গাড়ি থেকে একের পর এক কচ্ছপের খোলস বের হতে থাকে। জীবিত ও মৃত মিলিয়ে ৫০১টি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়। এর আগে ১৬ জানুয়ারিও একই ভাবে জালে ধরা পড়েছিল কচ্ছপ। বিগত বছরের প্রচুর পরিমানে কচ্ছপ পাচার করা রোধ করতে সাহায্য এবং সেগুলিকে উদ্ধার করার সাহায্য করায় পুরস্কৃত করা হয় তৎকালীন সিআইডির অফিসার সৌগত ঘোষকে। এহেন উদ্যোগ আগামীদিনে কর্মীদের কাজ করতে বেশি উৎসাহ প্রদান করবে বলে জানান ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ইস্টার্ন রিজনের রিজিওনাল ডেপুটি ডিরেক্টর অগ্নি মিত্র।