মুখে যতই শান্তির বার্তা দিক, যুদ্ধবিরতি চুক্তি ক্রমশই লঙ্ঘন করে চলেছে পাকিস্তান। ১৪ তারিখ পুলওয়ামাতে ভয়াবহ হামলার পরে এক সপ্তাহের মধ্যে কম করে ৬০ বার সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে পাকিস্তান। শোপিয়ানে সেনা শিবিরে জঙ্গি হামলার পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে উপত্যকা। সোমবার গভীর রাত থেকে জম্মু-কাশ্মীরের ত্রাল জেলায় শুরু হয়েছে সেনা-জঙ্গি গুলির লড়াই। সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে দুই জঙ্গীর।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, ত্রাল জেলার বেশ কয়েকটি বাড়ি জঙ্গি ডেরা হয়ে উঠেছে খবর পেয়ে গতকাল রাতে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ ও সিআরপিএফ। পুলিশ ও সেনা এলাকা ঘিরে ফেললে গোপন জায়গা থেকে গুলি ছুড়তে শুরু করে জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। দু’পক্ষের গুলি বিনিময়ের সময় দুই জঙ্গির খতম হওয়ার খবর মেলে। যদিও তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। নিহতেরা কোন জঙ্গি সংগঠনের অন্তর্গত সেটা এখনও জানা যায়নি। ত্রালে জারি হয়েছে সতর্কতা। সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে বার হতে মানা করা হয়েছে। এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও সেনা।
অভিনন্দনকে দেশে ফেরানোর প্রক্রিয়া চলাকালীনই নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলাবর্ষণ শুরু করেছিল পাক সেনারা। শুক্রবারই উপত্যকার কৃষ্ণাঘাটিতে পাক গোলায় ধূলিস্যাৎ হয়ে যায় একটি বাড়ি। ঘুমের মধ্যেই মৃত্যু হয় ২৪ বছরের এক গৃহবধূ ও তার দুই নাবালক সন্তানের। সেনা ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সূত্রে খবর, শুধু গুলি নয়, বেছে বেছে ভারতের গ্রামগুলি লক্ষ্য করে ছোড়া হচ্ছে মর্টার ও হাউইতজার ১০৫ মিমি গোলাও। পুঞ্চের মানকোটে পাক ও ভারতীয় সেনাদের গুলির লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে গুরুতর জখম হন এক মহিলা। গত বৃহস্পতিবার পুঞ্চে পাকিস্তানের গোলায় নিহত হন ২৭ বছরের আমিনা আখতার। জাকির হুসেন নামে এক সৈনিকও মারা যান। মানকোট, সালোত্রি ছাড়াও পাক হামলা চলছে কৃষ্ণাঘাটি লক্ষ করে। পুলওয়ামায় সেনা কনভয়ে জইশ হামলায় ৪০ সিআরপিএফ জওয়ানের মৃত্যু এবং পরবর্তীতে বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার প্রত্যাঘ্যাত, এর পরেই নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া গ্রাম ও সেনা ছাউনি লক্ষ্য করে পাক সেনাদের হামলা বহুগুণ বেড়েছে।