শুক্রবার পাকিস্তানের সীমান্ত পেরিয়ে লাইন অফ কন্ট্রোল ধরে এগিয়ে এসে রাত ৯টা ২১ মিনিটে ভারতের মাটিতে পা রাখেন দেশের বীর উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমান। এরপর কেটে গেছে প্রায় ৪১ ঘন্টা। কিন্তু পাকিস্তানি সেনার হাতে থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দিল্লীর সেনা হাসপাতালে এখনও চিকিৎসা চলছে অভিনন্দনের। তাঁর শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে মানসিক পরীক্ষার ওপরে।
বিমান ভেঙে পড়ার পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরে আপাতকালীন অবতরণ করেন অভিনন্দন। এরকম ক্ষেত্রে জোরাল আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে বিমান চালকের পিঠের দিকে। তবে ভিডিওতে যেভাবে অভিনন্দনকে সোজা হয়ে হাঁটতে দেখা গিয়েছ তাতে তার আঘাত খুব একটা গুরুতর নয় বলেই মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাক্তন এয়ার মার্শাল ভি কে ভাটিয়া এ ব্যাপারে সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘ইজেকশনের সময় সাধারণভাবে পাইলটের পিঠ আঘাত লাগে। তবে ভিডিওতে যেরকম দেখা যাচ্ছে তাতে তাঁকে ফিট বলেই মনে হয়। তাই ডিব্রিফিং শেষ হওয়ার পরই বায়ুসেনায় ফিরতে পারেন অভিনন্দন।’
কী ধরনের শারীরিক ও মানসিক পরীক্ষা হবে অভিনন্দনের? এয়ার মার্শাল ভাটিয়া জানিয়েছেন, সাধারণভাবে দেখা হয় ওই ধরনের ঘটনায় কতটা মানসিকভাবে আঘাত পেয়েছেন। জানতে চাওয়া হয় শত্রুপক্ষ তাঁর কাছ থেকে কোনও গোপন তথ্য বের করে নিয়েছে কিনা, তাঁর ওপরে কোনও শারীরিক অত্যাচার করা হয়েছে কিনা। এর পাশাপাশি এ-ও জানতে চাওয়া হয় কী ধরনের কথাবার্তা হয়েছে বিপক্ষ শিবিরের সেনা অফিসারদের সঙ্গে। সাধারণত একেই বলা হয়ে ডিব্রিফিং। এই মুহূর্তে দিল্লীর সেনা হাসপাতালেই চলছে অভিনন্দনের কুলিং ও ডিব্রিফিং প্রক্রিয়া। এবং আগামী কয়েকদিন ধরেই তা চলবে।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের মাটিতে নামার পর অভিনন্দনকে প্রবল মারধর করে জনতা। তাদের হাত থেকে বাঁচতে তিনি একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। জলে ভিজিয়ে দেন তাঁর কাছে থাকা কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। এসব নিজেই জানিয়েছেন অভিনন্দন।