বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনার হামলায় ৩৫০ জঙ্গী নিহত হওয়ার খবর পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলিও স্বীকার করছে না। সংবাদমাধ্যমের স্থানীয় প্রতিনিধিদের বালাকোটে নিয়ে যান পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ।
দুই পশ্চিমি নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ‘নিউ ইয়র্ক টাইমস’ –এর প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন, বালাকোটে যেখানে ভারতীয় বিমান বোমা ফেলেছে, সেখানে সত্যিই জঙ্গী ঘাঁটি ছিল। কিন্তু ২০০৫-এ ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের পরে বিদেশি ত্রাণ সংস্থাগুলি ওই অঞ্চলে যাতায়াত শুরু করে। ধরা পড়ে যাওয়ার ভয়েই জঙ্গীরা বালাকোটের ওই এলাকা ছেড়ে অন্য কোথাও সরে যায়। সুতরাং ভারতীয় বোমায় তাদের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম বলেই তাদের ধারণা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ভারতে উৎসব পালন করা হচ্ছে। কিন্তু এই হামলায় বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মনে হয় না। কারণ স্থানীয় গ্রামবাসীরা আমাদের এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যমগুলিকে জানিয়েছেন, ‘রাতে চার-পাঁচটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ তাঁরা শুনেছেন। কয়েকটা বাড়িতে ফাটলও ধরেছে। একজন সামান্য জখমও হয়েছেন। কিন্তু ফাঁকা মাঠে বোমাগুলি পড়ায় বড় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি’। রয়টার্সের এই প্রতিবেদন লন্ডনের ‘দ্য গার্ডিয়ান’, ডেলি টেলিগ্রাফ’-সহ বেশ কিছু সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে। ভারতীয় বিমান সম্ভবত নিশানা ভুল করেছে বলে মন্তব্য করেছে ‘গালফ নিউজ’।
‘ওয়াশিংটন পোস্ট’ও জানিয়েছে, স্থানীয় থানার পুলিশ ওঁ বাসিন্দারা নাম গোপনের শর্তে জানিয়েছেন, বালাকোট শহরের কয়েক কিলোমিটার বাইরে একটি পাহাড়ি এলাকায় ভারতীয় বিমান থেকে বোমা ফেলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে মানুষ মারা যাওয়ার কোনও চিহ্ন তাঁরা দেখেননি’।