বিচারপতি অরুণ মিশ্র, বিচারপতি নবীন সিনহা ও বিচারপতি ইন্দিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বেঞ্চ বাংলা-সহ ১৬টি রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, ২৪ জুলাইয়ের মধ্যে পাট্টার আবেদন খারিজ হওয়া পরিবারগুলিকে উৎখাত করতে হবে। শীর্ষ আদালতের নির্দেশের ফলে ১০ লক্ষের বেশি আদিবাসী ও অন্যান্য বনবাসী পরিবারের উচ্ছেদ হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে কেবল বাংলাতেই রয়েছে প্রায় ৮৬ হাজার পরিবার।
এই মামলার আবেদনকারীদের যুক্তি ছিল, অরণ্যের অধিকার আইনের বলে গাছ কাটা ও দেদারে বনভূমি ধ্বংস করে বাসযোগ্য করে তোলার কাজ চলছে। যে সমস্ত বনভূমির গাছ কেটে ইতিমধ্যেই তা বাসযোগ্য করে ফেলা হয়েছে তা থেকে ফের বাস উঠিয়ে গাছ লাগিয়ে অরণ্যের মধ্যেই ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষেও সওয়াল করেন তাঁরা। তাদের মতে, দেশজুড়ে ৪৪ লক্ষ আবেদনের মধ্যে প্রায় ২০.৫ লক্ষ আবেদনই খারিজ হয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে আবেদনকারীদের দাবি ছিল, জঙ্গলের জমিতে চাষবাস করার জন্য যাদের পাট্টার আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে, তাদের উৎখাত করা হোক। কিন্তু আবেদনকারীদের এই সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় সরকার কোনও আপত্তি করেনি বলে সূত্রের খবর। ফলে সুপ্রিম কোর্ট আবেদনকারীদের দাবি মেনে নেয়।
অরণ্যের অধিকার আইনে মূলত দু’ধরনের মানুষকে অরণ্যের অধিকার প্রদান করার কথা বলা হয়েছে। প্রথমত, তপসিলি উপজাতিভুক্ত মানুষ, যারা অরণ্যেই বসবাস করে আসছেন। দ্বিতীয়ত, যারা অন্তত ৭৫ বছর ধরে অরণ্যে বাস করেন অথবা অরণ্যের উপর প্রত্যক্ষভাবে নির্ভরশীল।