মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পাশাপাশি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীও তিনি। তাই রাজ্যবাসীর স্বাস্থ্যের দিকে সর্বদাই কড়া নজর থাকে তাঁর। বহুদিন ধরেই আরামবাগবাসীর প্রয়োজন ছিল একটি মেডিক্যাল কলেজের। সেই প্রয়োজন মেটাতেই শুক্রবার তারকেশ্বরের প্রশাসনিক সভা থেকে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সূচনা করলেন বাংলার জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভিত্তিপ্রস্তর উপলক্ষ্যে গতকাল আরামবাগে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী অসীমা পাত্র, সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, দুই বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা ও মানস মজুমদার, পুরপ্রধান স্বপন নন্দী প্রমুখ। জানা গেছে, আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালের বিশাল জায়গায় তৈরি করা হবে অ্যাকাডেমিক বিল্ডিং, লেকচার থিয়েটার, অডিটোরিয়াম-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ভবন।
সেইসঙ্গে দু’কিমি দূরে কালীপুরে চিকিৎসক এবং কর্মীদের কোয়ার্টার তৈরির জন্য ২০ একর জায়গা পাওয়া গেছে। সেই কাজও শীঘ্রই শুরু হবে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই এই হাসপাতালে নার্সিং ট্রেনিং স্কুল তৈরি করার অনুমোদন পাওয়া গেছে। তাই মেডিক্যাল কলেজ হলে অনেকটাই সুবিধা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে আরামবাগের পুরপ্রধান স্বপন নন্দী বলেন, ‘আরামবাগে যাতে একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়, এর জন্য বহুদিন থেকেই চেষ্টা চলছিল। অবশেষে তার শিলান্যাস হয়ে যাওয়ায় সেই চেষ্টা এবার বাস্তব রূপ নিতে চলেছে। এই মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হয়ে গেলে আরামবাগ ও তার আশপাশের জেলার অসংখ্য মানুষ উপকৃত হবেন।’
ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী আরামবাগে মেডিক্যাল কলেজ হওয়ায় শুধু আরামবাগ মহকুমা নয়, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর ও বাঁকুড়া জেলার মানুষও উপকৃত হবেন। আরামবাগের হাসপাতালটি মহকুমা হাসপাতাল হলেও বরাবরই এটি একটি জেলা হাসপাতালের চাপ নিয়ে থাকে। কারণ সারা বছরই এখানে রোগীর চাপ অত্যাধিক। অবশেষে তা মেডিক্যাল হতে চলায় খুশি আরামবাগবাসী। এ কারণে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানাচ্ছেন তারা।