সিঙ্গাপুর-ব্যাঙ্ককের সৌন্দর্য এবার বাংলাতেও। সিঙ্গাপুরের টানেল অ্যাকোয়ারিয়ামের আদলে অ্যাকোয়ারিয়াম গড়ে উঠতে চলেছে শিলিগুড়িতে। দিঘার মেরিন অ্যাকোরিয়ামের পর রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম অ্যাকোরিয়াম পেতে চলেছে শিলিগুড়ির ‘বেঙ্গল সাফারি পার্ক’। শিলিগুড়ির বেঙ্গল সাফারি পার্কে আসছে ‘টানেল অ্যাকোয়ারিয়াম’।
বিষয়টি নিয়ে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “বেঙ্গল সাফারি পার্কে পর্যটকদের আরও আকৃষ্ট করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রায় দেড় কিলমিটার লম্বা হবে টানেলটি। দুটি পর্যায়ে টানেলটির কাজ করা হবে। প্রথম ধাপের কাজ শেষ করে সেই অংশটি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে প্রকল্পটি। এছাড়াও পার্কের মধ্যে পাখির এনক্লোজারের উন্নয়ন করা হচ্ছে। বেশ কিছু বিদেশি পাখি আরও আনা হবে।”
রাজ্যের পর্যটন দফতরের উদ্যোগে তৈরি করা হবে অ্যাকোরিয়ামটি। সহযোগিতা করবে বনদফতর । রাজ্য জু অথরিটির সঙ্গে এই বিষয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা সেরেছে রাজ্য সরকার। সাফারি পার্কের ভিতরে অ্যাকোয়ারিয়াম তৈরির জমিও চিহ্নিতকরণ করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, দেড় বিঘা জমি বরাদ্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনে আরও জমি ব্যবহার করতে পারবে সাফারি পার্ক কর্তৃপক্ষ। সাফারি পার্কের পাশাপাশি গজোলডোবার ‘ভোরের আলো’, ঝড়খালি ও বালাগড়ে পিপিপি মডেলে আরও তিনটে বড় পর্যটনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। অ্যাকোরিয়ামটির জন্য পর্যটন দফতরের আধিকারিকদের প্রকল্পের খসড়া ও খরচ তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে দু’টি বৃহৎ অ্যাকোরিয়াম রয়েছে। একটি দিঘার মেরিন অ্যাকোরিয়াম ও অন্যটি নন্দনকাননের জু অ্যাকোরিয়াম। কিন্তু সাফারি পার্কের অ্যাকোয়ারিয়ামটি মাটির নিচে তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে।
দেড় কিলোমিটারের টানেলটির কাজ দু’টি ধাপে করা হবে। প্রথমে ৫০০ থেকে ৬০০ মিটারের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। রকমারি ছোট বড় মাছ অ্যাকোয়ারিয়ামে ছাড়া হবে। টানেলটির ভিতর দিয়ে যাওয়ার সময় দু’পাশে সেই মাছগুলি দেখতে পারবেন পর্যটকরা। পরবর্তীতে বাকি টানেলের কাজ করা হবে। অ্যাকোয়ারিয়ামের মধ্যে প্রজাতি অনুযায়ী আলাদা আলাদা এনক্লোজার তৈরি করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। এছাড়া বেঙ্গল সাফারি পার্ক সংলগ্ন লালটং-চমকডাঙিতে রুট তৈরি হচ্ছে। তরাই-ডুয়ার্সের মোট ৮৩টি ট্রেকিং রুট তৈরি করছে পর্যটন দপ্তর। ফলে বেঙ্গল সাফারিকে কেন্দ্র করে আরও বেশি পর্যটকের ঢল নামতে চলেছে শিলিগুড়িতে।