কেউ খবর রাখেনি। বাংলা চলচ্চিত্র জগতের বিখ্যাত অভিনেত্রী কণিকা মজুমদার লোক চক্ষুর আড়ালে থেকেই চলে গেলেন। ১৬ই ফেব্রুয়ারি ২০১৯ চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন তিনি।
১৯৩৫ সালের কণিকা মজুমদারের জন্ম। অবিভক্ত ভারতের ময়মনসিংহে। পরিবারের আপত্তিতে সিনেমাতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েও করা হয় নি। অসাধারণ সুন্দরী কণিকা মজুমদারকে আটকে রাখা যায়নি। ১৯৬১ সালে সত্যজিৎ রায়ের তিন কন্যা ছবির মণিহারা অংশে অভিনয় করে কনিকা মজুমদারের অভিনয় জীবন শুরু হয়। এরতারপর তিনি সুযোগ পান মৃণাল সেনের পুনশ্চ ( ১৯৬১) ছবিতে। দুটি ছবিতেই তাঁর অভিনয় উচ্চ প্রশংসিত হয়।
মহানায়ক উত্তমকুমারের সঙ্গে তিনি ৬টি ছবিতে কাজ করেছেন। ছায়াছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি কনিকা মজুমদার দীর্ঘদিন বেতার এবং মঞ্চেও অনেক অভিনয় করেছেন। স্বামী তরুণ মজুমদারও প্রয়াত। এক কন্যা আছে। কিন্তু কেউ খবর রাখেনি তাঁর। জীবনের শেষ অধ্যায় তিনি দক্ষিণ কলকাতার ‘অস্তরাগ’ বৃদ্ধাশ্রমে অতিবাহিত করেন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হল, আগুন( ১৯৬২), অগ্নিশিখা ( ১৯৬২), প্রথম প্রেম(১৯৬৫), চিড়িয়াখানা(১৯৬৭), পঞ্চসর(১৯৬৮), বিলম্বিত লয় (১৯৭০), হার মানা হার(১৯৭২), বসন্ত বিলাপ(১৯৭৩), রাণুর প্রথম ভাগ (১৯৭৪), রাগ অনুরাগ(১৯৭৫), বন্দী বিধাতা (১৯৭৫), চাঁদের কাছাকাছি(১৯৭৬), তিলোত্তমা (১৯৭৮), প্রিয়তমা(১৯৮০), দুষ্টু মিষ্টি ( ১৯৮১), ছন্দনীড় (১৯৮৯) ।