সুপ্রিম কোর্টে জোর ধাক্কা খেলেন রিলায়েন্স কমিউনিকেশনের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানি৷ আদালত অবমাননার দায়ে অনিল আম্বানিকে দোষী সাব্যস্ত করল সুপ্রিম কোর্ট। শুধু তাই নয়, চার সপ্তাহের মধ্যে এরিকসনকে সাড়ে চারশো কোটি টাকা মিটিয়ে না দিলে জেল খাটতে হবে বলেও অনিলকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি রিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানি ও তাঁর দুই ডিরেক্টরকে ১ কোটি টাকা করে জরিমানাও করেছে দেশের শীর্ষ আদালত।
তাদের প্রাপ্য টাকা মেটাচ্ছে না অনিল অম্বানীর সংস্থা। এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে সুইডিশ টেলিকম সংস্থা এরিকসন। বুধবার মামলার শুনানি শুরু হলে আদালত বলে, ‘তাদের নির্দেশকে ‘ইচ্ছাকৃত ভাবে অমান্য’ করেছেন অনিল অম্বানী।‘ আর এই অবমাননার জন্য অনিলকে এক কোটি জরিমানাও করে আদালত। এরিকসনের আরও অভিযোগ, রাফাল প্রকল্পের জন্য অনিলের সংস্থা টাকা বিনিয়োগ করতে পারছে, অথচ তাদের বকেয়া ৫৫০ কোটি টাকা দিচ্ছে না। যদিও এরিকসনের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে অনিলের সংস্থা। আদালতকে অনিল অম্বানী জানিয়েছেন, এরিকসনের বকেয়া মেটানোর জন্য তারা সর্বোত ভাবে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সম্পত্তি বিক্রি নিয়ে তাঁর দাদা মুকেশ অম্বানীর সংস্থা রিলায়্যান্স জিও-র সঙ্গে যে চুক্তি হয়েছিল তা ব্যর্থ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছে তাঁর সংস্থা।
২০১৮-র ২৩ অক্টোবর আদালত রিলায়্যান্স কমিউনিকেশন-কে নির্দেশ দিয়েছিল ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এরিকসনের সমস্ত বকেয়া মিটিয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি এটাও বলেছিল, বকেয়া মেটাতে দেরি হলে বছরে ১২ শতাংশ সুদও দিতে হবে তাদের। কিন্তু ২৩ অক্টোবরের সেই নির্দেশ অনুযায়ী সময় মতো টাকা মেটাতে পারেনি অনিলের সংস্থা। ফলে সুদ সমেত ৫৫০ কোটি টাকা মেটানোর জন্য অনিল অম্বানীকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত, এরিকসন ইন্ডিয়া একটি সুইডিশ কোম্পানি। তারা টেলিকমের যন্ত্রপাতি তৈরি করে। ২০১৪ সালে এরিকসন ইন্ডিয়া অনিল আম্বানির সংস্থার সঙ্গে সাত বছরের একটি চুক্তি করে৷ কিন্তু চুক্তি অনুযায়ী টাকা না মেটানোয় ঋণে জর্জরিত সংস্থার বিরুদ্ধে ন্যাশনাল কোম্পানি ল অ্যাপেলট ট্রাইবুনালে মামলা ঠুকে দেয় এরিকশন৷ তা গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট অবধি৷