সাসপেন্ড করে দেওয়া হল পাকিস্তান সরকারের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র মহম্মদ ফৈজলের ব্যক্তিগত টুইটার অ্যাকাউন্ট। সরকারিভাবে জানা গিয়েছে, ভারতের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসার পরই অনির্দিষ্টকালের জন্য বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের টুইটার অ্যাকাউন্ট ব্লক করে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, কখনও জম্মু–কাশ্মীর হামলা নিয়ে আক্রমণাত্মক মন্তব্য, আবার কখনও বা ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ। এমনকী আন্তর্জাতিক আদালতে কুলভূষণ যাদবের মামলা সংক্রান্ত বিচার ব্যবস্থা নিয়ে পোস্ট করতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রককে। ভারতের তরফে অভিযোগ পাওয়ার পরই তড়িঘড়ি ব্লক করে দেওয়া হয় তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলটি। অভিযোগ, নিজের অ্যাকাউন্টে ভারত বিরোধী নানান মন্তব্য করেছেন তিনি। উপত্যকায় অশান্তির কথা বার বার উঠে এসেছে তাঁর বিভিন্ন পোস্টে। সেখানে দায়ী করা হয়েছে ভারতীয় সেনাকে। পাশাপাশি, কুলভূষণ মামলা নিয়েও তাঁর ব্যক্তিগত মতামত ঘিরে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।
সম্প্রতি নিজের করা একটি পোস্টে ফৈজল ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের ট্যাগ করে লিখেছেন, জম্মু-কাশ্মীরে মানুষের অধিকার ও মর্যাদা লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তাঁর কথায়, ‘যে দেশ মানবাধিকার লঙ্ঘন করে সেই দেশের সঙ্গে কোনও রকম বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখা উচিত নয় ইউরোপীয় ইউনিয়নের।’ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সিআরপিএফের কনভয়ে হামলা করে জঙ্গী সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। এই সংগঠনটিকে নিয়মিত মদত দেয় পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই। ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, জৈশের মাথা মৌলানা মাসুদ আজহার ঘাঁটি গেড়ে রয়েছে পাকিস্তানেই। সুতরাং এমন পরিস্থিতিতে দু’দেশের সম্পর্ক এমনিতেই উত্তপ্ত। তার উপর, মঙ্গলবারই সাংবাদিক বৈঠক করে পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ভারতকে স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, পুলওয়ামায় জঙ্গী হানার পর ভারত যদি পাকিস্তানে আক্রমণ চালায়, তাহলে পাল্টা জবাব দিতে তৈরি পাকিস্তানও। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে পাক বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্রের এমন পোস্ট রোষের আগুন আরও বাড়িয়ে তুলবে।