বাংলা গানের জগতকে গত তিন দশক যাঁরা মাতিয়ে রেখেছিলেন তাঁদের মধ্যে অন্যতম নাম প্রতীক চৌধুরী৷ আজ কিছুক্ষণ আগে হৃদরোগে মৃত্যু হল তাঁর৷
আজ নিজের অফিস চত্ত্বরে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী প্রতীক চৌধুরী। দ্রুত তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
রাহুল দেববর্মনের গান তাঁর গলায় অন্য মাত্রা পেয়েছিল। নব্বইয়ের দশকে বাংলা গানের রিমেকের যে ঢেউ উঠেছিল, সেখানে প্রতীক চৌধুরী ছিলেন অনন্য।রাহুল দেববর্মনের গান তাঁর গলায় অন্য মাত্রা পেয়েছিল। প্রতীকের অ্যালবাম ‘মন বাঁওরা’ আপামর জনগণের মন ছুঁয়েছিল।
তাঁর কন্ঠে রবীন্দ্রসংগীতকে পছন্দ করেছিলেন আপামর রবীন্দ্র অনুরাগী মহল। বেশ কিছু বছর নিজেকে আড়ালে রাখার পরে ২০১৮ সালেই নিজের জন্মদিনে অনুরাগীদের জন্য জন্মদিনের উপহার দিয়েছিলেন অ্যালবাম ‘এই বাংলার নীড়ে’। তাঁর রবীন্দ্রগানের অ্যালবাম, ‘প্রাণের ঠাকুর’ মুক্তি পায় এই বছর। ১০টি গান ছিল ‘প্রাণের ঠাকুর’ অ্যালবামে।
বাঙালিবাবু (২০০২),পাতালঘর(২০০৩)-এর মতো ছবিতে প্লে-ব্যাক গেয়েছিলেন প্রতীক। অনিকত চট্টোপাধ্যায়ের পরিচালনায় নির্মীয়মাণ ছবি ‘হবুচন্দ্র রাজার গবুচন্দ্র মন্ত্রী’-তে বেশ কিছু গান গেয়েছিলেন প্রতীক। এটিই তাঁর শেষ কাজ।
তাঁর এই আকস্মিক প্রয়াণে বাংলা গানের জগতে শোকের ছায়া নেমেছে। বাংলা গানের বড় দুঃসময়ে নিজের গলা ধরেছিলেন প্রতীক। ইদানীং অনুষ্ঠান প্রায় করছিলেনই না। তবু বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে প্রতীক চোধুরী জনপ্রিয় নাম। মাথায় কাপড় বেঁধে, স্থূল চেহারার প্রতীক চৌধুরী শহর নয়, মাত করেছিলেন গ্রামগঞ্জের মঞ্চও।