ফেসবুক-কে সোশ্যাল মিডিয়ার ‘বিগ বস’ বললেন ব্রিটেনের সাংসদরা। গোপনীয়তা এবং প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত যাবতীয় নিয়ম ভেঙেছে মার্ক জুকারবার্গ এমনটাই দাবি তাঁদের। অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত শুরু হলেও, তাতে সাহায্য করা তো দূর উল্টে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তাঁরা। তাই, অবিলম্বে ফেসবুকের উপর কঠোর বিধি-নিষেধ জারি করার নির্দেশ দিক সরকার।
গত আঠেরো মাস ধরে ব্রিটেনের ডিজিটাল, সংস্কৃতি, সংবাদমাধ্যম সংক্রান্ত একটি কমিটি তদন্ত চালিয়েছে। এই কমিটির তদন্তের মূল বিষয় ছিল, ফেক নিউজ এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভুল তথ্য। কমিটির রিপোর্টে তুলে লেখা হয়েছে, প্রথমত, নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের জন্য রাশিয়া যে চক্রান্ত করেছে তাকে প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক। দ্বিতীয়ত, ইচ্ছাকৃত ভাবে কমিটির তদন্তে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে তারা। ঘটনা হল, গত বছর থেকেই ফেসবুকের বিরুদ্ধে ভুরিভুরি অভিযোগ সামনে আসছে। কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কেলেঙ্কারির সময়ে দেখা যায়, ইউজারদের ব্যক্তিগত তথ্য তৃতীয় পক্ষের হাতে তুলে দিয়েছে ফেসবুক। যা ব্যবহার করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রভাব খাটানোর অভিযোগও উঠেছে। বিতর্কের জেরে মার্কিন কংগ্রেসে জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয় জুকারবার্গকে।
কমিটির চেয়ারম্যান কলিন্সের কথায়, ‘প্রতিনিয়ত যে ভাবে মিথ্যা খবরের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আক্রমণ করা হচ্ছে, তা উদ্বেগের। গোটাটাই হচ্ছে প্রথম সারির সোশ্যাল মিডিয়াগুলির মাধ্যমে।’ রিপোর্টে সরাসরি জুকারবার্গকে বিঁধে লেখা হয়েছে, তাঁর কাছে তিনটি পৃথক বিষয়ে নথিপত্র চাওয়া হয়েছিল। তিনি নিজে না এসে জুনিয়রদের পাঠিয়ে দেন। যাঁদের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যই ছিল না। এমনটা করে ফেসবুক প্রতিষ্ঠাতা ব্রিটিশ সংসদের অবমাননা করেছেন বলে রিপোর্টে লেখা হয়েছে। সাংসদদের বক্তব্য, রাশিয়ার মতো কোনও দেশ যদি ব্রিটিশ নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর এমন কোনও হামলা চালায়, তা হলে তার মোকাবিলা করার মতো পারদর্শিতা ব্রিটেনের নেই। বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্তের প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।