সম্প্রতি বাংলায় সভা করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করলেও, এবার তাঁরই প্রকল্প নিজ রাজ্যে অনুসরণ করতে চলেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ! মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে এ রাজ্যে চাল, গম ছাড়াও আরও ৪৭২টি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মিলছে রেশনে। বেসরকারি একটি কোম্পানির সঙ্গে রাজ্য সরকারের মউ চুক্তির ভিত্তিতে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। এর ফলে রাজ্য পাচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ। আবার বাজারদরের চেয়ে কিছুটা সস্তায় নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য পাওয়া যাওয়ায় লাভবান হচ্ছেন ক্রেতারা। কারণ এই দ্রব্যে জিএসটি নেই।
রাজ্যে এই মূহূর্তে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় প্রায় ৬ কোটি ২ লক্ষ গ্রাহক রেশনের মাধ্যমে সস্তায় চাল, গম পায়। সুবিধাভোগীদের জন্য কেন্দ্র দু’টাকা কিলোদরে গম এবং তিন টাকা কিলোদরে চাল দিলেও, রাজ্য সরকার নিজের থেকে ভর্তুকি দিয়ে চাল, গম দুটিই দু’টাকা কিলো দরে দেয়। পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘সকলের জন্য খাদ্য’ কর্মসূচি নিয়ে খাদ্য সুরক্ষার বাইরে থাকা রাজ্যবাসীকেও সস্তায় রেশনের চাল, গম দেওয়ার বন্দোবস্ত করেছেন। রাজ্য ‘খাদ্য সাথী-১’ যোজনায় দু’টাকা কিলোদরে চাল, গম মেলার পাশাপাশি রাজ্য খাদ্য সাথী যোজনা-২’য়ে ৯ টাকা কিলোদরে গম এবং ১৩ টাকা কিলোদরে রেশনে চাল মেলে।
এর বাইরেও রাজ্যের গ্রাহকদের সস্তায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করতে সম্প্রতি এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে মউ করেছে রাজ্য। যেখানে মিলছে কমবেশি ৪৭২টি নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী। এতে রেশন দোকানে যে বিক্রি হচ্ছে, তার এক শতাংশ অর্থ পশ্চিমবঙ্গ এসেনসিয়াল কমোডিটি সাপ্লাই করপোরেশন বা পশ্চিমবঙ্গ অত্যাবশ্যক পণ্য সরবরাহ নিগমে জমা হচ্ছে। অর্থাৎ বাড়ছে রাজ্যের আয়। আপাতত সল্টলেক, দমদম এবং বারাকপুরের রেশন দোকানে এই প্রকল্প চালু হয়েছে। ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে তা চালু হবে।
এবার এই মমতা মডেল অনুসরণ করার তোড়জোড় শুরু করেছে যোগী সরকার। রাজ্যের ওই উদ্যোগের কথা জানতে পেরে রেশনের মাধ্যমে সস্তায় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। উত্তরপ্রদেশের খাদ্য রাষ্ট্রমন্ত্রী অতুল গর্গ এ ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন। কীভাবে বাংলায় ওই প্রকল্পটি চালু হল, তার বিস্তারিত তথ্য জানার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশে তা শুরু করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন তিনি।