কাশ্মীরের পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় জঙ্গী হামলায় নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শনিবারই কলকাতায় মোমবাতি মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেদিনই তিনি নির্দেশ দেন, রবিবার রাজ্যের সব ব্লকে দলের নেতা-নেত্রী ও কর্মীরা শান্তি মিছিল করবেন। তাঁর নির্দেশ মতোই গতকাল সব ব্লকে দুপুর ২টো থেকে ৩টে পর্যন্ত মৌন মিছিল করেন দলের নেতা-নেত্রী ও কর্মীরা। তাঁদের হাতে ছিল মোমবাতি। তবে ছিল না কোনও রাজনৈতিক স্লোগান।
রাতে গড়িয়াহাটে হিন্দুস্থান ক্লাবের পক্ষ থেকে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য মোমবাতি মিছিল করেন। মধ্য কলকাতার মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম। হেঁটেছেন আমিরউদ্দিন ববি, নয়না বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্দীপন সাহা, অশোক চক্রবর্তী প্রমুখ। দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু শ্রীভূমিতে মোমবাতি জ্বালিয়ে জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। উপস্থিত ছিলেন বিধাননগর পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী।
নিজের এলাকায় জাতীয় পতাকা নিয়ে শান্তি মিছিল করেন মেয়র পারিষদ ও দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস কুমার। মিছিলে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। আবার বেলেঘাটায় কাউন্সিলর অলকানন্দা দাস-এর নেতৃত্বে একটি বড় মিছিল হয়। হাঁটেন অলোক দাস ও আরও অনেকে। গোলপার্কে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানান বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় ও চৈতালি চট্টোপাধ্যায়।
গিরিশ পার্কে শান্তি মিছিলে ছিলেন স্মিতা বক্সি, সৌম্য বক্সি। জগুবাবুর বাজারে নিহত জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান মদন মিত্র। হরিশ মুখার্জি রোড থেকে হাজরা পর্যন্ত মৌন মিছিল করেন সন্দীপ বক্সি-সহ ৭২ নং ওয়ার্ডের কর্মীরা। মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে, সে-কথা মাথায় রেখেই কোথাও মাইক বাজানো হয়নি। পাটুলিতে শান্তি মিছিল করেন কাউন্সিলর অরূপ চক্রবর্তী।
এর পাশাপাশি বাঁকুড়াতেও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসবাদী হানায় নিহত সেনাবাহিনীর কর্মীদের স্মরণে পথ হাঁটল তৃণমূল। মুখে কালো কাপড় বেঁধে দলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁ-এর নেতৃত্বে এক বিশাল মৌন মিছিল শহরের বিভিন্ন অংশ পরিক্রমা করে। আবার তৃণমূলের হাওড়া জেলার সভাপতি মন্ত্রী অরূপ রায়ের নেতৃত্বে রবিবার হাওড়াতেও হল শান্তি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাটার নরসিংহ দত্ত রোডের বিজয়ানন্দ পার্কের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে শেষ হয় হাওড়া ময়দানে।