বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে তিনটেয় পুলওয়ামায় জঙ্গী হামলার পরই লখনউয়ে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢড়ার সাংবাদিক বৈঠক বাতিল ঘোষণা করা হয়েছিল। শুক্রবার সকালেও কংগ্রেস সদর দফতরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং-কে পাশে বসিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘এখন রাজনৈতিক বিতর্কের সময় নয়। এই পরিস্থিতিতে আমরা সরকারের পাশে আছি।’ এবার পুলওয়ামা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকেও সমস্ত দলের প্রতিনিধিই সেই ঐক্যের বার্তাই দিলেন। সীমান্তের সন্ত্রাস নিয়েও সরব হল সব দল।
শনিবার সংসদে হওয়া সর্বদলীয় বৈঠকে এই মর্মে প্রস্তাব পাশ হল যে, দেশের নিরাপত্তা আর একতার খাতিরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সারা দেশ একজোট হয়ে লড়বে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ‘১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় হওয়া ঘৃণ্যতম জঙ্গী হামলায় ৪০ জন সিআরপিএফ জওয়ান মারা গিয়েছেন। আমরা কড়া ভাষায় তার নিন্দা করছি’।
প্রস্তাবে পুলওয়ামার হামলা বা জঙ্গীদের মদত দেওয়ার জন্য কোথাও পাকিস্তানের নামোল্লেখ করা হয়নি। তার পরিবর্তে বলা হয়েছে, ‘দীর্ঘ দিন ধরে ভারত সীমান্তপারের সন্ত্রাসের শিকার, যে সন্ত্রাসকে সীমান্ত পারের বাহিনী মদত দিচ্ছে। ভারত এই চ্যালেঞ্জকে শক্ত হাতে মোকাবিলা করে আসছে। সারা দেশ এক সুরে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। দেশের নিরাপত্তা এবং একতার জন্য সারা দেশ একসঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়বে।’
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর নেতৃত্বে হওয়া ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, শরদ পাওয়ার, গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, ফারুক আবদুল্লা, সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। ছিলেন কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়কমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর এবং পাকিস্তানে ভারতের রাষ্ট্রদূত অজয় বিসারিয়া।
সর্বদল শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কংগ্রেস মুখপাত্র গুলাম নবি আজাদ বললেন, ‘কাশ্মীর হোক বা দেশের যে কোনও স্থান, দেশের একতা, নিরাপত্তা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সুরক্ষার প্রশ্নে আমরা সব সময় সরকারের পাশে থাকব। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কংগ্রেস সরকারকে পূর্ণ সমর্থন করবে’। বৈঠকের আগেই আপ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিঃশর্তে কেন্দ্রের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল।