এ বছরের বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, বাংলাই বিনিয়োগের সেরা ঠিকানা। এবার তাঁর সেই কথাকে প্রাধান্য দিলেন উত্তরপ্রদেশের কিছু ট্যানারি মালিকও। তাই তারা বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের পর যোগী রাজ্য উত্তরপ্রদেশ থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে এ রাজ্যের বানতলা চর্মনগরীতে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দফতরের পক্ষ থেকে ৩টি সংস্থাকে বানতলা চর্মনগরীতে ট্যানারি করার জন্য মালিকদের হাতে জমি তুলে দেওয়া হয়। রাজ্যের শিল্প মানচিত্রে মাথা তুলে দাঁড়াতে চলেছে বানতলা চর্মনগরী। আসছে নতুন লগ্নি। বরাদ্দ হয়েছে ৭০ একর জায়গা। জানা গেছে তাতে ৫ হাজার কোটি টাকা লগ্নি হবে। ২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আরও নতুন ২০০টি ট্যানারি কারখানা তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই কানপুর-সহ দেশের অন্যান্য রাজ্যের ট্যানারি মালিকদের হাতে জমি তুলে দিয়েছে রাজ্য সরকার। বানতলা চর্মনগরী দেশের মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠতে চলেছে।
ক্যালকাটা লেদার কমপ্লেক্স ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র বানতলায় নতুন ২০০টি ট্যানারি করার জন্য ৭০ একর জায়গা বরাদ্দ করেছেন। এখানে প্রায় ২ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান এবং ৫ হাজার কোটি টাকার লগ্নি হবে। লেদার কমপ্লেক্স ট্যানারি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ খান জানান, বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে ইতিহাস রচনা করেছে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স। তাঁর আশা, দেশের মধ্যে লেদার হাব রূপে গড়ে উঠবে এই বানতলা চর্মনগরী।