বৃহস্পতিবারের দুপুরটা বদলে দিয়েছে সবকিছু। এক লহমায় পাল্টে গেছে অনেকগুলো মানুষের জীবন। ভয়াবহ জঙ্গী হামলায় ৪২ জন জওয়ানের মৃত্যু এবং তাঁদের পরিবারের কান্নায় সামিল গোটা দেশ। এই কান্নার রেশ এসে পৌঁছেছে বাংলাতেও। শহীদ হয়েছেন বাংলার দুই জওয়ান। আজ দুপুর ৩.৩০ নাগাদ দিল্লি থেকে বায়ুসেনার বিশেষ বিমানে কলকাতায় আসে নদিয়ার তেহট্টের বাসিন্দা সুদীপ বিশ্বাস এবং হাওড়ার বাউড়িয়ার বাবলু সাঁতরার কফিনবন্দি দেহ।
শনিবার সকাল থেকেই বিমানবন্দর চত্বরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছিলেন বহু মানুষ। সিআরপিএফ ছাড়াও, বায়ুসেনা, রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকারের প্রশাসনিক কর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বায়ুসেনার বিমান রানওয়ে ছুঁতেই সুদীপ এবং বাবলুর নামে ভিড়় থেকে জয়ধ্বনি উঠে শুরু করে। সিআরপিএফ-এর তরফে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয় বাংলার দুই শহীদকে। শ্রদ্ধা জানানোর পর কফিনবন্দি দুই জওয়ানের দেহ এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়ির উদ্দেশ্যে।
নদিয়ার তেহট্টের হাঁসপুকুরিয়াই হোক বা হাওড়া বাউড়িয়া, সকাল থেকে সেখানেও ভিড়। পাড়াপ্রতিবেশীরা তো রয়েইছেন। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন বহু মানুষ। বৃহস্পতিবার বাবা, মা এবং পরিবারের সঙ্গে শেষ বারের মতো কথা হয়েছিল সুদীপের। কথা বলতে বলতে ফোন কেটে যায়। তার পর সব শেষ। ডিসেম্বরে বাড়িতে এসেছিলেন সুদীপ। বন্ধুদের বলেছিলেন, শ্রীনগর থেকে ক্রিকেট ব্যাট কিনে আনবেন। সেই ব্যাট আর এসে পৌঁছল না। সুদীপ এল ‘কফিনবন্দি’ হয়ে!