বরফের চিতা হয়ে উঠেছিল ভূস্বর্গের নতুন ফুটবল টিম ‘রিয়াল কাশ্মীর’। মাদ্রিদে যেমন রিয়াল মাদ্রিদ, তেমনই শ্রীনগরের প্রাণ হয়ে ওঠে এই টিম। আর বর্তমান লিগ টেবিলে তারা দ্বিতীয়তে রয়েছে। রিয়াল কাশ্মীর আই লিগ জেতার এখন অন্যতম দাবিদার। তবে হঠাৎ জঙ্গিহানায় সেনাদের মৃত্যুর ঘটনায় ফুটবল যেন আবার পিছনে চলে গেল।
শ্রীনগরের যে হোটেলে রিয়াল কাশ্মীরের কোচ রবার্টসন-সহ বিদেশি এবং ভিন রাজ্যের ফুটবলাররা থাকেন সেই হোটেল থেকে পুলওয়ামার দূরত্ব ১৫ কিমি। তবে পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার কোনও প্রভাব রিয়াল কাশ্মীর শিবিরে পড়েনি। পুলওয়ামায় যখন ঘটনাটি ঘটে তখন স্থানীয় টিআরসি গ্রাউন্ডে প্র্যাকটিস করছিল রিয়াল কাশ্মীর দল। জঙ্গি হানার কথা তাঁরা শোনেন বাসে করে হোটেলে ফেরার পথে। হোটেলে ফিরে রিয়াল কাশ্মীরের ফুটবলাররা কৌতূহলী হয়ে টিভি’র সামনে বসে পড়েন। সন্ধ্যাতেও টিভি’র দিকে চোখ ছিল গোটা রিয়াল কাশ্মীর শিবিরের। হোটেলে এসে বিদেশি কোচ ও খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করে যান ক্লাবটির শীর্ষ কর্তারা। অন্যতম দল মালিক সন্দীপ ছাত্তুর হোটেলেই সেই আগস্ট থেকে আছেন বিদেশি ও ভিনরাজ্যের খেলোয়াড়রা। রাতের খবর, হোটেলে বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী বাড়িয়ে আই লিগের খেতাবি দৌড়ে থাকা দলটির সুরক্ষা আরও জোরদার করেছেন দল কর্তারা।
রিয়াল শিবিরে ফোন করে জানা গেল, পূর্ব নির্ধারিত সূচি মতোই টিআরসি মাঠে প্র্যাকটিস হবে। তবে সোমবার মিনার্ভা পাঞ্জাবের সাথে রিয়াল কাশ্মীরের খেলা নিয়ে এআইএফএফকে একটি চিঠি দিয়েছেন মিনার্ভা পাঞ্জাবের কর্তারা। তাদের অনুরোধ যে যাতে ম্যাচটা নিরপেক্ষ কোনো সূচিতে খেলা হোক বা ম্যাচটা বাতিল করলেও করে পারে এআইএফএফ। এই মুহূর্তে নিরাপত্তার কারণের জন্য তারা কাশ্মীরে খেলতে যেতে চাইছে না। যদিও এআইএফএফ-এর তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।