ভয়াবহ জঙ্গী হামলার ঘটনা ঘটেছে কাশ্মীরের পুলওয়ামায়। আর তারপর কর্নাটকের নির্বাচনী প্রচারে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরদিন অর্থাৎ আজ শুক্রবার ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সূচনাও করেছেন। এইসব ঘটনায় বেজায় চটেছে দেশবাসী। প্রশ্ন উঠছে, জঙ্গী হামলার জবাব দেওয়ার চেয়ে নির্বাচনী প্রচার আর ট্রেন উদ্বোধনই বড় হল?
‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ ট্রেনের সূচনা করে জঙ্গী হামলা প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারিও দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘যারা এই হামলা করে পালিয়েছে, তারা নিজেদের জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল করেছে। এর শাস্তি তাদের পেতেই হবে’। কিন্তু মোদীর এই সান্ত্বনা বাক্যে চিঁড়ে ভিজছে না। দেশের এমন পরিস্থিতিতে মোদীর ট্রেন উদ্বোধন করাকে ভালো চোখে দেখছেন না অনেকেই। জনগণের একাংশের প্রশ্ন, গোটা দেশ যখন শোকে বিহ্বল তখন কী করে ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের’ সূচনা নিয়ে ব্যস্ত থাকলেন প্রধানমন্ত্রী? জনতার দাবি, শুধু শাস্তি পেতে হবে বলে সান্ত্বনা বাক্যে কাজ হবে না। কি শাস্তি দেওয়া হবে সেটাও খোলাখুলি জানাক মোদী সরকার। এমনকী নিরাপত্তা নিয়েও মোদীর নূন্যতম চিন্তা নেই বলেও দাবি করেছেন অনেকে।
পুলওয়ামার এই হামলাকে গত ৪০ বছরে সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা বলে জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। অথচ একদিকে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তাঁর দল দেশ ও দেশের সেনাদের নিয়ে আবেগী ভাষণ দিলেও মোদীর শাসনকালেই সেনা ও তাঁদের পরিবার সব থেকে বেশী কষ্ট পেয়েছেন এবং শহীদ হয়েছেন বলে দাবি তাঁদের। গুরুদাসপুর এবং উড়ির মতো সন্ত্রাসী হামলাও মোদীর আমলেই ঘটেছে। এবার ঘটল পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলা।