ছোট্ট কাঁধে পাহাড় প্রমাণ চাপ কমাতে এবার তৎপর রাজ্যের শিক্ষা দফতর। পড়ুয়াদের ব্যাগ যাতে অযথা ভারি না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার কথা বলা হয়েছে।
কাঁধে যাতে বাড়তি বোঝা বইতে না হয়, তার জন্য কী কী করতে হবে, তার বিস্তারিত রূপরেখা তৈরি দিয়েছে তারা। এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। তাতে শ্রেণী ভিত্তিক ব্যাগের ওজন কত হবে, হোমওয়ার্ক দেওয়া হবে কি না, ব্যাগ কেমন হবে ইত্যাদি বিষয় বলে দেওয়া হয়েছে। আরো বলা হয়েছে, ক্লাসের রুটিন অনুযায়ী যেন পড়ুয়ারা বই নিয়ে স্কুলে আসে। বাড়তি কোনও বই তাঁরা যেন না আনে সেদিকে শিক্ষদের নজর দিতে হবে। নিয়মিত ব্যাগ পরীক্ষা করবার কথা বলা হয়েছে। লাইব্রেরির বই ব্যবহারের উপর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। প্রতিটি বিষয়ের জন্য একটিই খাতা আনার কথা বলা হয়েছে। এতে অতিরিক্ত খাতার বোঝা ঠেকানো যাবে।
স্কুল ব্যাগ কেমন হবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা দফতরের তরফে। সেই ব্যাগে চওড়া প্যাডিং থাকতে হবে। পড়ুয়াদের উদ্দেশে দফতরের বার্তা, একটি নয়, দু’টি কাঁধেই ব্যাগ নিতে হবে। এ প্রসঙ্গে দপ্তরের সচিব মণীশ জৈন বলেন, আমরা চাই না শিশুরা অযথা অতিরিক্ত বই-খাতা ব্যাগে নিয়ে স্কুলে আসুক। বিজ্ঞপ্তিতে খুবই সহজ ভাষায় তা বলা হয়েছে। শিক্ষকদেরও বুঝতে সমস্যা হবে না। সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা মাথায় রেখেই আমরা এই রূপরেখা তৈরি করেছি। আমরা চাই, দ্রুত স্কুলগুলি এটি কার্যকর করুক। শিক্ষা দফতরের এই বিজ্ঞপ্তি এবং স্কুলগুলির সহায়তায় এবার খুঁদেদের পিঠে ব্যাগের ভার কমতে চলেছে সে বিষয়ে সন্দেহ নেই।