আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ১১৭টি আসন নিয়ে চিন্তায় রয়েছে বিজেপি শিবির। এমনই ইঙ্গিত দিচ্ছে পরিসংখ্যান। ওই আসনের ফলের উপরে অনেকটাই নির্ভর করছে গেরুয়া বাহিনীর ভবিষ্যৎ।
গত পাঁচ বছরে মোদী ম্যাজিক ফিকে হয়ে গিয়েছে। এমনই দাবি করে বিজেপি শিবির। তবে সেই দাবি অবশ্য গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি এবং গেরুয়া বাহিনী। অবশ্য পদ্ম শিবিরের যুক্তি মেনে নিলেও ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের যাত্রা খুব একটা সহজ হচ্ছে না বিজেপির। ফের মোদী সরকার গঠনের ক্ষেত্রেও তৈরি হয়েছে বিরাট প্রশ্ন চিহ্ন।
কারণ এইসব সংবেদনশীল লোকসভা কেন্দ্রগুলি উত্তর প্রদেশ, ঝাড়খণ্ড এবং কর্ণাটকে অবস্থিত। আর এটিই বিজেপির কাছে চিন্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝাড়খণ্ডে ইতিমধ্যেই ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। অনেক চেষ্টা করেও কর্ণাটকে সরকার গঠন করা যায়নি। আর উত্তরপ্রদেশে সরকারে থাকলেও নানা বিতর্ক রয়েছে যোগী আদিত্যনাথ পরিচালিত বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে।
এই অবস্থায় জোট প্রার্থীদের কাছে পরাস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বিজেপি প্রার্থীদের। কারণ এত কম ব্যবধানে জেতার অর্থ বিরোধী ভোটের ভাগ হয়ে যাওয়া। ২০১৯ সালে অনেক বিরোধী দল জোট গঠন করেছে। উত্তর প্রদেশে সপা-বিএসপি জোট করেছে, আসন সমঝোতাও চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। সেই জোটের যাত্রা অব্যাহত থাকলে হোঁচট খেতে হতেই পারে মোদী-অমিত শাহ জুটিকে। যা ফের কেন্দ্রে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে বড় অন্তরায় হয়ে দাঁড়াতে পারে।