১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডের সভামঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যে যেখানেই বিজেপির নেতা-নেত্রীরা সভা করবেন, ঠিক একই জায়গায় সভা করবে তৃণমূল৷ মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণায় স্পষ্টতই ভয় পেয়েছে বিজেপি। তাই ফালাকাটার রেলের মাঠে সভা করার অনুমতি দেওয়া হল না তৃণমূলকে।
২ ফেব্রুয়ারি ফালাকাটার রেলওয়ে ময়দানের সভায় হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। আগাম ওই কর্মসূচির কথা জেনে ওই মাঠেই ৮ ফেব্রুয়ারি একটি পাল্টা জনসভা করার কথা ঘোষণা করেছিল আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের অভিযোগ, ওই সভার বিষয়ে আগাম অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। শুধু একবার নয়, তিন-তিনবার। সেই মতই মাঠে চলছিল মঞ্চ বাঁধার কাজ। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যাবেলা হঠাৎ-ই আরপিএফ আধিকারিকেরা এসে জানান, অনুমতি বাতিল করা হয়েছে, মঞ্চ খুলে নিতে বলেন তাঁরা।
সম্পূর্ণ ঘটনাটি বিজেপির ইচ্ছাপ্রণোদিত বলেই মনে করা হচ্ছে। ইচ্ছাকৃত ভাবেই কেন্দ্রের হস্তগত রেল ওই সভার অনুমতি বাতিল করেছে। ঘটনার দায় এড়াতে বিজেপির আলিপুরদুয়ার জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, “বুধবার জানতে পারি, মাদারিহাট রোডের ওই মাঠে সভা করার জন্য রেলের থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নেননি তৃণমূল নেতারা। আমরা শুধু রেলকে বলেছিলাম, বিনা অনুমতিতে যেন সভা করতে দেওয়া না হয়।
যদিও রেলের মাঠ না পেলেও শুক্রবারের প্রস্তাবিত জনসভাটি বাতিল করছে না তৃণমূল। ৮ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়ির চূড়াভান্ডারে মাদারিহাট রোডে রেলের মাঠের কাছের ডাকবাংলো মাঠে সভা হবে।