সাধারণ মানুষের মনে যে তীব্র অসন্তোষের জন্ম হয়েছে তা বিলক্ষণ বুঝতে পারছেন মোদী। আর লোকসভা ভোটের আবহে যে এই অসন্তোষ যে বেশ উদ্বেগজনক তা বুঝেই কেন্দ্রীয় বাজেটকে অন্যভাবে সাজিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন তিনি। কিন্তু আবারও নিজের চালে নিজেই ঘায়েল হলেন মোদী। নিজের কথা অনুযায়ী বাজেটে ঘোষণা করা প্রকল্পগুলির বাস্তবায়নের যে বিপুল অঙ্কের টাকা প্রয়োজন তা যাতে কম না হয় তাই ৩৫টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে বিলগ্নিকরণের জন্য চিহ্নিত করা হল। এই প্রক্রিয়া যত দ্রুত সম্ভব সম্পন্ন করে ফেলতে চাইছে কেন্দ্র। নিজেদের সুবিধার জন্য বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে ৯০ হাজার কোটি টাকা রাজকোষে আনতে চাইছে সরকার।
সরকার যে ৩৫টি সংস্থাকে তালিকাভুক্ত করেছে তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেরও কয়েকটি সংস্থা রয়েছে। যেগুলির মধ্যে অন্যতম দুর্গাপুরের সেইল ইউনিট। এই সংস্থাগুলি যে যে রুগ্ন কিংবা লোকসানজনক এমন নয়। কিন্তু নিজেদের অবস্থান বাঁচাতেই কেন্দ্রের এমন কোপ পড়ল সংস্থাগুলির ঘাড়ে।
কেন্দ্রের অবহেলার ফলে আর্থিক মন্দা গ্রাস করে ভারতের অর্থনীতিকে। আর সেই গাফিলতিকে পূরণ করার কোন চেষ্টাই করেনি এতদিন কেন্দ্র। আর ভোটের মুখে মানুষের মন রাখার বাজেট এই দুইয়ের চাপে বিলগ্নিকরণের মত সিদ্ধান্ত নিল তারা। এমনিতেই তাঁদের খুঁটি বেশ নড়বড়ে তার ওপরে বাজেটে ঘোষিত প্রকল্প বাস্তবায়িত না হলে মানুষ আরও বিমুখ হয়ে যাবে। তাই নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে এতগুলি সংস্থাকে স্রেফ ব্যবহার করল বিজেপি। আবারও প্রমাণিত হল নিজেদের সুবিধার্থে যা কিছু করতে পারে বিজেপি।