বাজেট পেশ হওয়ার আগে ধর্নামঞ্চেই মন্ত্রিসভার বৈঠক সারলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্না মঞ্চের পিছনেই রয়েছে কলকাতা পুলিশের একটি আউটপোস্ট। সেখানে সমস্ত মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করছেন মমতা। বাজেটে কি হবে তা নিয়েই মূলত এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে।
বৈঠক শেষে সবাই বিধানসভার দিকে রওনা হয়ে গেছেন। শুধু মন্ত্রীরাই নন, শাসকদলের বিধায়করাও এই মুহূর্তে মেট্রো চ্যানেল অর্থাৎ ধর্নামঞ্চে রয়েছেন। সেখান থেকেই সমস্ত বিধায়করা বিধানসভায় বাজেটে যোগ দিয়েছেন।
অন্যদিকে, গোটা রাজ্য প্রশাসনকে ধর্নামঞ্চে নিয়ে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধর্নামঞ্চে মুখ্যসচিব মলয় দে-সহ অন্যান্য আমলারাও রয়েছেন। সেখানেই সমস্ত প্রশাসনিক ফাইল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সই করছেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলায় কি কি পরিস্থিতি তারও খবর মঞ্চ থেকে বসেই নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাসভবনে সিবিআই হানার পর রবিবার রাতেই কেন্দ্র ও সিবিআই-এর অতিসক্রিয়তার বিরুদ্ধে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ রাত কেটে গিয়ে সকাল হয়েছে৷ সিঙ্গুর আন্দোলন স্মরণ করিয়ে এখনও ধর্নায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷
মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গেই ধর্না মঞ্চে রয়েছেন গোটা তৃণমূল নেতৃত্ব৷ রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিমরা৷ ধর্নাস্থল থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘মোদী পাগল হয়ে গিয়েছেন৷ ওরা জানে আর ক্ষমতায় ফিরবে না৷ ক্ষমতা হারানোর ভয়ে এ সব করছে৷ সর্বত্র রাষ্ট্রপতি শাসন জারির চেষ্টা করছে৷ কেউ মাথা নত করবেন না৷ ওরা বিভেদের রাজনীতি, প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে। রাজনৈতিক ভাবেই এর মোকাবিলা হবে৷ কেউ অবরোধ করবেন না৷ মানুষের সমস্যা হবে৷ প্ররোচনায় পা দেবেন না৷’
অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সত্যাগ্রহ ধর্নার পাশে দাঁড়িয়েছেন দেশের সব তাবড় বিরোধী নেতৃত্ব৷ রাহুল গান্ধী থেকে অরবিন্দ কেজরিওয়াল, তেজস্বী যাদব, এইচডি দেবগৌড়া প্রমুখ।