দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম আমলে প্রায়শই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ভুগতে হত রাজ্যবাসীকে। তবে তৃণমূল জমানায় সেই সমস্যা প্রায় নেই বললেই চলে। এবার বিদ্যুৎ বিভ্রাটে যাতে আরও দ্রুত রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করা যায়, তার জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির এলাকায় ওই কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ভ্যানগুলির ওপরে জিপিএসের মাধ্যমে নজরদারি চালু করল রাজ্য। শনিবার বিদ্যুৎ ভবনে একটি ‘রুফ টপ সোলার প্রজেক্ট’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ খবর জানিয়েছেন খোদ বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।
মন্ত্রী জানান, এবার মোবাইল ভ্যানের ওপরে ‘অন লাইন ট্র্যাকিং’ করা সম্ভব হবে। তাতে ভ্যানগুলির অবস্থান বোঝা যাবে অফিস থেকেই। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, অনেক সময় রাস্তা ভুল করে বা অন্য কোনও কারণে নির্ধারিত রুটের বাইরে চলে যায় মোবাইল ভ্যান। তাতে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করতে দেরি হয়। অন লাইন ট্র্যাকিং ব্যবস্থায় তা অফিস থেকেই ধরা যাবে এবং দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে, বণ্টন কোম্পানি সূত্রে খবর, বিদ্যুৎ বিভ্রাটের অভিযোগ যাতে গ্রাহকরা দ্রুত জানাতে পারেন, তার জন্য মিসড কল এবং এসএমএস পরিষেবার সূচনা করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
গতকাল বিদ্যুৎ ভবনের ছাদে ৩০ কিলোওয়াটের সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের অফিসের ছাদে ইতিমধ্যেই সোলার প্যানেল বসানো হয়েছে। বিদ্যুৎ ভবনের ছাদে তা থাকলেও নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তাই, নতুন করে সেখানে ৩০ কিলোওয়াটের প্রকল্পের সূচনা হল। এতে অফিসের বিদ্যুতের খরচ সাশ্রয় হবে।
শনিবার একটি ‘বিল কালেকশন মোবাইল অ্যাপ’-এরও সূচনা করেন মন্ত্রী। বিদ্যুৎকর্মীরা সেই অ্যাপ দিয়ে গ্রাহকদের বিলের টাকা জমা করতে পারবেন। এদিন রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির পরিষেবা সম্পর্কে গ্রাহকদের মতামত সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেন মন্ত্রী। তিনি জানান, রিপোর্ট ইতিবাচক। সব ধরনের গ্রাহকদের মধ্যে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। তাতে উঠে এসেছে, মোটের উপরে গ্রাহকরা বিদ্যুৎ পরিষেবায় সন্তুষ্ট।