সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণেই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার শিকার হতে হচ্ছে বাংলাকে। তিনি কেন্দ্রের বিরোধীতা করেন বলেই এভাবে তার বদলা নিচ্ছে মোদী সরকার, এমন অভিযোগ করে বারবার সরবও হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু দিন দিন সেই বঞ্চনার পরিমাণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এবং তা সমস্ত ক্ষেত্রেই। গতকাল পেশ হওয়া অন্তর্বর্তী বাজেটেও বাংলার রেল প্রকল্পে বরাদ্দ প্রায় শূন্য। কোথাও নামমাত্র, কোথাও আবার প্রকল্পের উল্লেখই নেই! যার ফলে আবারও প্রকাশ্যে চলে এল কেন্দ্রের বাংলা-বিরোধীতার ছবিটা।
যদিও সাফাইয়ের সুর রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের গলায়। তাঁর দাবি, রেলের পরিকাঠামোয় বিশেষ জোর দিয়েছেন তিনি। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রেলের জন্য মোট ৬৪,৫৮৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। শুক্রবার সাধারণ বাজেটের মধ্যেই রেলের বাজেট পেশ করেছেন অর্থমন্ত্রী গোয়েল। বাজেটে নতুন ট্রেনের ঘোষণা নেই। আছে বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা। তবে এ প্রসঙ্গে বিরোধীরা বলছে, ফি-বছর বরাদ্দ বৃদ্ধি নতুন কিছু নয়। এতকাল এমনটাই হয়ে এসেছে। কিন্তু বরাদ্দ বাড়ানোর ঘোষণা হলেও বাংলার প্রাপ্তির ভাঁড়ার সেই শূন্যই।
বাজেটে বাংলার জন্য কোনও বরাদ্দ তো করা হয়ইনি, বরং কয়েকটি নির্মীয়মাণ মেট্রো রেল প্রকল্পেও অর্থ বরাদ্দ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাংলার বেশ কয়েকটি প্রকল্পে বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সেন্ট্রাল পার্ক থেকে হলদিরাম— এই সাড়ে ৫ কিমি মেট্রো প্রকল্পে নতুন করে কোনও অর্থ বরাদ্দ হয়নি। ইস্ট-ওয়েষ্ট মেট্রো প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছে ৯০৫ কোটি। গতবার যা ছিল ১,১০০ কোটি। নিউ গড়িয়া-এয়ারপোর্ট মেট্রো প্রকল্পেও বরাদ্দ কমেছে। গতবার ছিল ৬০ কোটি। সেখানে এবার মাত্র ৩৬ কোটি। এভাবে বাংলার মানুষের স্বার্থ ক্ষুন্ন করায় আবারও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব তৃণমূল।