খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডে জড়িত আরও এক জামাতুল মুজাহিদিন (জেএমবি) জঙ্গীকে গ্রেফতার করল স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। ধৃত ওই জঙ্গির নাম সৈয়দ আবদুল মাতিন। সে আসামের বরপেটার বাসিন্দা। এ রাজ্য থেকে যাওয়া শ্রমিকদের ভিড়ে গা-ঢাকা দিয়েছিল সে। অবশেষে কেরালার মাল্লাপুরম থেকে তাকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
টাস্ক ফোর্স সূত্রে জানা গেছে, বরপেটা থেকে মালদহের কালিয়াচকে শেরশা মাদ্রাসায় পড়ার জন্য এসেছিল মাতিন। সেখান থেকেই জেএমবি সদস্য জিয়াউল এবং মৌলানা ইউসুফের হাত ধরে জেএমবি শিবিরে নাম লেখায় সে। এরপর তাঁকে নিয়ে আসা হয় বর্ধমানের শিমুলিয়া মাদ্রাসায়। সেখানে মৌলানা ইউসুফের তত্ত্বাবধানে চলতে থাকে প্রশিক্ষণ। শীর্ষ জেএমবি নেতা হাত কাটা নাসিরুল্লাও সেখানে তাঁকে জেএমবির আদর্শগত প্রশিক্ষণ এবং বিস্ফোরক তৈরি থেকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়।
টাস্ক ফোর্সের দাবি, ওই সময় ১৫ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় শিমুলিয়া এবং মুকিমনগরে। সেই ১৫ জনের খোঁজ অনেকদিন ধরেই চালাচ্ছিলেন গোয়েন্দারা। টাস্ক ফোর্সের এক কর্তা জানান, ‘নাসিরুল্লার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিল মতিন। তাকে নাসিরুল্লাই নিয়ে যায় মুকিমনগরে। সেখানে জেএমবির আর এক শীর্ষ নেতা সাজিদ ওরফে রহমতুল্লার কাছে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে নাসিরুল্লা।’
গোয়েন্দাদের দাবি, তত দিনে জেএমবি-র মধ্যে আদর্শগত বিরোধ শুরু হয়ে গিয়েছিল। বর্ধমান বিস্ফোরণের পর মাতিনও গা ঢাকা দেয়, কিন্ত যোগাযোগ ছিল নাসিরুল্লার সঙ্গে। নাসিরুল্লা জেএমবি ছেড়ে বাংলাদেশের নব্য জেএমবিতে যোগ দিতে সে দেশে পাড়ি দেয়। মাতিন দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আসাম ও বাংলার শ্রমিকদের ভিড়ে নিজেকে লুকিয়ে রাখে। তবে এবার ধৃত ওই জঙ্গীকে আটদিনের ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শনিবার তাকে আদালতে তোলা হবে জানা গেছে।