ধরা পড়ে গেল মোদী সরকারের টুকলি। স্পষ্ট হয়ে গেল কীভাবে বাংলার প্রকল্প ধার করে নিজেদের প্রকল্প তৈরি করে মোদী সরকার। আজ শুক্রবার কেন্দ্র সরকারের অন্তবর্তী বাজেটে কৃষকদের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে ‘কিষান সম্মান নিধি’ প্রকল্প। অভিযোগ, গোটা প্রকল্পটাই মমতা সরকারের ‘কৃষকবন্ধু’ প্রকল্পের টুকলি।
২০১৮ সালের শেষ দিনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন এই কৃষক বন্ধু প্রকল্পের। এই প্রকল্পের আওতায় ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সি কৃষকের মৃত্যুতে রাজ্যের তরফে মৃতের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকার আর্থিক অনুদান দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। একইভাবে বছরে যে কোনও একটি চাষের জন্য দু’বারে একর প্রতি জমির জন্য কৃষককে দেওয়া হবে বার্ষিক ৫ হাজার টাকা।
অন্যদিকে এদিন কেন্দ্রের অন্তর্বর্তী বাজেটে ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল জানান, ছোট এবং প্রান্তিক কৃষকের অ্যাকাউন্টে বছরে ৬০০০ টাকা সরাসরি ট্রান্সফার করা হবে। ছোট এবং প্রান্তিক কৃষককে আর্থিকভাবে সাহায্য করতে চালু হবে ‘প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি’। এই প্রকল্পে দু’হেক্টর পর্যন্ত জমির মালিক কৃষককে বছরে ৬ হাজার টাকা সরাসরি দেওয়া হবে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। মোট তিনটি পর্বে দেওয়া হবে এই অনুদান। এই প্রকল্পে উপকৃত হবেন দেশের ১২ কোটি কৃষক। এই খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৭০ হাজার কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় সরকারের বাজেট পেশের পর কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলনে এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘যে যে প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁর মধ্যে অধিকাংশই আমরা আগে করেছি। ওরা শুধু ছবি পাঠিয়ে বলছে, ওই প্রকল্পগুলি কেন্দ্র করেছে। স্বাস্থ্যসাথী থেকে শুরু করে কিষানবন্ধু প্রকল্প, কৃষকদের জন্য ফসলবীমা–সব আমাদের সরকার করেছে। ওরা কোথাও কোনও উন্নয়ন করেনি। শুধু জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়েছে। ১০০ দিনের কাজেও মানুষ টাকা পাচ্ছে না। শুধু গত এক বছরে দু’কোটি মানুষ বেকার হয়েছে। আরবিআইয়ের মতো সংস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে পুরো ধ্বংস করছে। প্রধানমন্ত্রী শুধু ক্ষমতার অপব্যবহার করছে। এই বাজেট আসলে পুরোটাই মিথ্যে। কেউ এই মিথ্যে কথায় কান দেবেন না। রাজ্য থেকে একাধিক কর নিচ্ছে, বদলে রাজ্যের প্রকল্পগুলিকে নিজেদের বলে চালাচ্ছে। এই সরকার আর বেশিদিন টিকবে না’।