গত মঙ্গলবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর সভা শেষ হওয়ার পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল কাঁথি। শহরজুড়ে তান্ডব চালানোর পাশাপাশি তৃণমূলের পার্টি অফিস, গাড়িও জ্বালিয়ে দিয়েছিল বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির ওই তাণ্ডবের প্রতিবাদে বুধবার মিছিলে হাঁটল কাঁথির আপামর মানুষ। তৃণমূলের ডাকে ওই মিছিলে হাজার হাজার মানুষের জমায়েত হয়েছিল। প্রত্যেকের হাতেই ছিল দলের পতাকা ও ব্যানার। কাঁথির পুরপিতা সৌমেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এই ধিক্কার মিছিলে অন্যদের সঙ্গে পা মেলান জেলা সভাধিপতি দেবব্রত দাস, শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ মধুরিমা মণ্ডল, বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, বনশ্রী মাইতি, রণজিৎ মণ্ডল প্রমুখ।
রূপসী বাইপাস মোড়ে বিজেপি কর্মীদের জ্বালিয়ে দেওয়া তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে থেকেই শুরু হয়ে গতকালের মিছিল। এবং তা শেষ হয় ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কাছে। সেখানে একটি পথসভাও হয়। তৃণমূলের এই মিছিলকে ঘিরে গতকাল কাঁথি শহরে কার্যত জনস্রোত তৈরি হয়েছিল। তবে শুধুমাত্র মিছিল দিয়ে বিজেপির তাণ্ডবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ইতি টানতে নারাজ তৃণমূল। দলীয় নেতৃত্বের ঘোষণা, আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি অমিত শাহর সভাস্থলেই পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। সেই সভায় শাহর সভার ৫ গুণ বেশি মানুষের জমায়েত করার চ্যালেঞ্জও গ্রহণ করা হয়েছে দলীয় নেতৃত্বের তরফে।
বিজেপির তাণ্ডবের বিষয়ে মঙ্গলবারই তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেন, কাঁথিকে অশান্ত করতেই আগে থেকেই এমন চক্রান্ত ছিল বিজেপির। সেই উদ্দেশ্যেই রড ও লাঠি আনা হয়েছিল। প্রচুর বাস, প্রাইভেট গাড়ি ভাঙচুর করার পাশাপাশি বহু তৃণমূল কর্মীকে মারধরও করা হয়েছে ঘটনার দিন। এমনকি বুধবারও পূর্ব বর্ধমানে বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা দলীয় কর্মীদের লাঠি নিয়ে সভা-সমিতিতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। জানা গেছে, বিজেপির হামলায় গুরুতর জখম হয়ে এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলের যুবনেতা দেবাশিস ভুঁইয়া, কৌশিক দাস-সহ ১৬ জন। দেবাশিস এবং কৌশিকের মাথায় অস্ত্রোপচার করতে হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকরা।