গাইঘাটা ঠাকুরনগরে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সভার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাল্টা সভা করবে তৃণমূল। একথা আগেই জানিয়েছিলেন খাদ্যমন্ত্রী ও উত্তর ২৪ পরগনার জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। এবার পাল্টা সভার তারিখটাও চূড়ান্ত হয়ে গেল। ২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরনগরে মোদীর সভা। ৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ঠিক তিন দিনের মাথাতেই সেখানে পাল্টা সভা করতে চলেছে তৃণমূল।
এই প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘৫ বা ৬ ফেব্রুয়ারি আমরা ঠাকুরনগরে পাল্টা সভা করছি। দলের মধ্যে আলোচনা চলছে। শুধু জেলা নেতৃত্ব তো নয়, রাজ্য নেতৃত্বও উপস্থিত থাকবেন। তাই কথাবার্তা চালাতে হচ্ছে। ৫ তারিখই সভা রাখার চেষ্টা করছি। কোনও কারণে ওই দিন না হলে ৬ ফেব্রুয়ারি হবে’।
নরেন্দ্র মোদী ২ তারিখ যে মাঠে সভা করছেন, তৃণমূলের ৫ তারিখের সভা সেই মাঠে হবে না। কারণ হিসাবে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, ‘যে মাঠে মোদীর সভা হচ্ছে, সেখানে ১০ হাজারের বেশি লোক ধরে না। আমরা যে মাঠে পাল্টা সভা করছি, সেখানে ৫০ হাজার লোক ধরে। আর মনে রাখবেন, একটা লোককেও আমরা বাইরে থেকে আনব না। শুধুমাত্র গাইঘাটা বিধানসভা এলাকার মানুষই আমাদের মাঠ ভরিয়ে দেবেন’।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মতুয়া ঠাকুরবাড়ির বড় বউ মমতাবালা ঠাকুর যখন আসামে গিয়েছিলেন, তখন বিজেপি সরকারের পুলিশ তাঁকে মারধর করেছে, হেনস্থা করেছে। যাঁর বড় বউমাকে আসামে এ ভাবে মারল বিজেপি, এখন তাঁর বাড়িতেই যেতে নরেন্দ্র মোদীর লজ্জা করবে না’! ঠাকুরনগরে মোদীর জনসভা বিজেপিকে কোনওভাবে লাভবান করবে না বলেও দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয়। অভিযোগ করে বলেন, ‘বীণাপানি ঠাকুরের বাড়ি অরাজনৈতিক স্থান। তাঁর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২১ বছরের সম্পর্ক। মতুয়াদের জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অনেক কাজ করেছেন। মোদী নিশ্চয় আসবেন। তিনি আসুন। যে মাঠে ধর্মীয় উৎসব চলছে, সেখানে কেন সভা করতে চাইছেন?’ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে বলেন, ‘ঠাকুরনগরে ঢুকে উনি কিছুই করতে পারবেন না’।