রাজনৈতিক জীবনের দ্বিতীয় ইনিংসে সুপার ফ্লপ মুকুল রায়। গেরুয়া শিবিরের বিশ্বাসযোগ্যতা তো হারালেনই। সঙ্গে পদও খোয়ালেন তৃণমূলত্যাগী মুকুল।
চার-পাঁচ দিন আগে বঙ্গ বিজেপির সদর দফতর ৬ নং মুরলীধর সেন লেনে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের একটি চিঠি আসে। ওই চিঠিতেই বাংলায় লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্ব থেকে মুকুল রায়কে সরিয়ে তুলে দেওয়া হয় অরবিন্দ মেননের হাতে। এবার থেকে মুকুল রায়কে তাঁর অধীনেই কাজ করতে হবে। তিনি আর স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন না। এছাড়াও লোকসভা নির্বাচনের দায়িত্বে আনা হয়েছে সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে।
মাত্র ২ মাস আগেই মুকুলকে বঙ্গ বিজেপির লোকসভা নির্বাচন সংক্রান্ত কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছিল। দলের জাতীয় কর্ম সমিতির সদস্যও হয়েছিলেন। দিল্লীতে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে মুকুল রায়কে বাংলার হয়ে বক্তৃতাও দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই অল্প সময়ের মধ্যে কি এমন হল যাতে মুকুলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হল!
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মুকুল রায় এমন কিছু করে দেখাতে পারেননি যাতে তাঁর ওপর পরিপূর্ণ ভরসা করতে পারা যায়। জনভিত্তিহীন কিছু খুচরো নেতাকে দলে টানা ছাড়া মুকুল আর কিছুই করতে পারেননি। এদিকে আগামী লোকসভায় বাংলা থেকে ভালো ফল করতে না পারলে বিজেপির পক্ষে ক্ষমতায় ফেরা কঠিন। এই পরিস্থিতিতে অন্য দল থেকে আসা নেতার ওপর সম্পুর্ণ ভরসা করতে পারছে না বিজেপির শীর্ষ নেতারা। তাই মুকুলে ভরসা না রেখে অমিত শাহরা সময় থাকতেই দায়িত্ব তুলে দিলেন সঙ্ঘ ঘনিষ্ঠ অরবিন্দ মেনন এবং সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের হাতে।